• ৩০শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বানারীপাড়ায় সমিতির ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও মাঠকর্মী হয়রানির শিকার

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২১, ২০:৪৪ অপরাহ্ণ
বানারীপাড়ায় সমিতির ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও মাঠকর্মী হয়রানির শিকার

বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় রংধনু ঋণদান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন সদস্যদের জমাকৃত ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার পরে, মাঠকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগম পদে পদে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

তিনি সমবায় সমিতিতে চাকরিরত অবস্থায় তার নিজ এলাকা উপজেলার ইলুহার ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন সদস্যদের কাছ থেকে এককালীন ও মাসিক হারে মোট ২১ লাখ টাকা আলমগীর হোসেনের কাছে জমা দেন।

এছাড়াও আলমগীরের কাছে আরও ২৯লাখ টাকা জমা হয় মাঠ থেকে। চলতি বছরের প্রথম দিকে গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে সে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ৯জুন  উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফসানা শাখী নিজ স্বাক্ষরীতপত্রে  ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার বিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অভিযোগ করেণ।

পরে এলাকায় ফিরে আসেন আলমগীর হোসেন। এসে উল্টো তার রংধনু সমবায় সমিতির অসহায় দরিদ্র মাঠকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগমকে হয়রানী করা শুরু করেন। এই বলে যে, সদস্যদের গচ্ছিত অর্থ তার কাছে রয়েছে।

এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন আঞ্জুয়ারা বেগম। উপায়অন্ত না পেয়ে ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। পরে ১০ জুলাই আঞ্জুয়ারা বেগমের উত্তোলনকৃত (মাঠ থেকে) ২১ লাখ টাকার হিসেব নিয়ে দরবার হয় পরিষদে।

ওই দরবারে চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, তার শ্বশুর আঃ কাদের ও স্ত্রী শালয়া আনাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় আলমগীর হোসেনের কথামতে প্রমানিত হয় ২১ লাখ টাকা থেকে ৭লাখ টাকা সে সদস্যদের মধ্যে ঋণ দিয়েছেন। তবে বাকি ১৪ লাখ টাকার কোন হিসেব সে দিতে পারেনি।

পরে শালিস মিমাংশার মধ্যে আলমগীরের শ্বশুর আঃ কাদের ও তার স্ত্রী শায়লা আনাম নগদ ১ লাখ টাকা জমা দিয়ে একটি অঙ্গিকার নামা দেয়। ওই অঙ্গিকার নামায় উল্লেখ থাকে ১০ আগস্টের মধ্যে তারা গ্রাহকদের সম্পূর্ণ টাকা ফেরৎ দিয়ে দিবেন। তবে চতুর আলমগীর হোসেন পরবর্তীতে সমিতির সদস্যদের কোন প্রকার টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে স্ত্রী শায়লা আনামকে নিয়ে পুনরায় পালিয়ে যায়।

পালিয়ে গিয়ে অসহায় মাঠকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগমকে হয়রানী করারমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। গত ৩ নভেম্বর আঞ্জুয়ারা বেগমের কাছে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. এনামুল হক (এনাম)’র  স্বাক্ষরীত একটি লিগ্যাল নোটিশ আলমগীর হোসেন পক্ষ হয়ে পাঠায়।

এদিকে একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায় বানারীপাড়া উপজেলার অভ্যন্তরে অনেক সমবায় সমিতি রয়েছে। যারমধ্যে বেশিরভাগ সমিতির মালিকরা এ উপজেলার বাসিন্দাই না। তারা কিভাবে এখানে সমিতি পরিচালনা করার লাইসেন্স পাচ্ছেন এ নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।