নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনায় যান্ত্রিক কার্যক্রম চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। সচলাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের পথে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চৌকস টিম। ঘন্টা প্রতি ৭শ টাকা ভাড়ায় বর্জ্য অসারণে ব্যবহৃত হচ্ছে যন্ত্র দানব স্ক্যাবেটর। যথাযথ তথ্যের অভাবে অব্যবহৃত রয়ে গেছে দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি মিনি স্ক্যাবেটর। এ যন্ত্রদানব তিনটি পুরোমাত্রায় কাজে না লাগানোর ব্যাপারে নগরভবনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগসূত্রে জানা গেছে, এই স্ক্যাবেটর গুলোর চাকা টায়ার দিয়ে তৈরী কিন্তু বর্জ্য অপসারণের জন্য দরকার চেইন সিস্টেমের চাকা যেগুলোতে কোন ধাতব বা কাচের টুকরা চাকায় গেথে যেতে পারবেনা এবং ময়লার ভাগারে চলাচলেও শক্তি পাবে। কিন্তু চলতি বছরে মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এ তিনটি স্ক্যাবেটর কি ধরণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে জানতে চাইলে সূত্র আরো জানায়, এগুলো দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা বড় ধরণের বর্জ্য’র স্তুপ অপসারণ করা সম্ভব। এদিকে বিগত দিনগুলোতে নগর ভবনের নিজস্ব স্ক্যাবেটর দিয়ে বর্জ্যরে ভাগার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পন্ন হতো কিন্তু সম্প্রতি তা বিকল হওয়ায় স্ক্যাবেটর ভাড়ায় এনে কার্য সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক দীপক লাল মৃধা জানায়, আমাদের নিজস্ব মেশিনটি সচল করার জন্য ভারত থেকে যন্ত্রাংশ আনতে হচ্ছে কারণ এটি ঐ দেশ ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। এমনকি আমরা নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকার ধোলাই খাল থেকে অচল যন্ত্রাংশটির হুবহু তৈরী করেও মেশিনটিকে সচল করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে ভারত থেকে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশটি আনতে নগরভবন থেকে একটি টিম প্রস্তুতি নিয়েছে সফর করার জন্য। সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘন্টায় দশ লিটার জ্বালানি এবং দৈণিক ৭শ টাকা ভাড়ায় নুসরাত বির্ল্ডাস থেকে ভাড়ায় স্ক্যাবেটর এনে বিসিসির ময়লার ভাগারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে নির্দিষ্টকালের জন্য।