নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজিবাইক বন্ধ করে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেপরোয়া গতির আলফা, মাহিন্দ্রা ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে নগরে। এ সব যানবাহনের বিকট শব্দ আর অহরহ দুর্ঘটনায় নগরবাসী অতিষ্ঠ। বিসিসিকে তোয়াক্কা না করে লঞ্চ টার্মিনাল ও বাস টার্মিনাল থেকে যাতায়াতের ব্যস্ততম সড়ক গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ এ সব বাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএ ও পুলিশ বিভাগের যোগসাজশে চলছে এ সব যানবাহন। প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি যানবাহনের চাপে নগরীতে প্রায়ই যানজট লেগে থাকছে। ট্রাফিক বিভাগের অব্যবস্থাপনার ফলে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ইজিবাইক নগরীর ব্যস্ততম সড়কে চলাচলে বাধা প্রদান করছে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ। তারা সহস্রাধিক লাইসেন্স জব্দ করে রেখেছে। আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি বিএমপি কমিশনার ও সদস্য সচিব বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক। তাই বেপরোয়া যানবাহনসহ গ্যাসের সিলিন্ডার ভর্তি পরিবহন চলাচলে ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএ থেকে কোনো প্রকার বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় না। বিসিসির এক সভায়, অটো চালকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও বিআরটিএ’র আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। বিসিসির ৩৮৭ কিলোমিটার পাকা সড়কে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে চলাচল করছে ১০ হাজার গ্যাস ও ব্যাটারি চালিত অটোসহ দ্রুতগামী বাহন আলফা-মাহিন্দ্রা।