• ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশাল নগরীর কাশিপুরে যেকোন সময়ে ঘটতে পারে রক্তের হলিখেলা

admin
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০১৯, ১৯:১৬ অপরাহ্ণ
বরিশাল নগরীর কাশিপুরে যেকোন সময়ে ঘটতে পারে রক্তের হলিখেলা

শামীম আহমেদ ॥

বরিশাল নগরীর কাশিপুরস্থ বিমানবন্দর থানাধীন গনপাড়া ৩০নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ভাবে ভূমি ব্যাবসায়ী নাম অর্জনকারী হয়েও ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল হক লিপনের বসত বাড়িতে দিনের বেলায় অবৈধভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে লিপনের তত্ববধায়নে থাকা ৩ একর ১০ শতাং থেকে ১ শতাংশ ১০ ফুট সহ সহ লিপনের পৈত্রিক জমি থেকে ১ শতাংশ জমি দখল করে নিয়ে সেখানে একটি ঘড় নির্মান সহ পাশ্ববর্তী জমির আইলে পাকা গাউড ওয়াল নির্মান করে নিজের আয়ত্বে নিয়েছে ভূমি ব্যাবসায়ী আলি হোসেন মাঝি গং।

স্থানীয়ভাবে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় কাগজ-পত্র সূত্রে জানা গেছে উক্ত এলাকার আয়সা খাতুনের ৩ একর ১০ শতাংশ জমির মালিক হয়ে যায় পৈত্রিক সূত্রে তার ছেলে মৃত্যু আবি আবদুল্লাহ্ মানিক।

এদিকে মৃত্যু আবি আবদুল্লাহর ছেলে-মেয়ে ওয়ারিস গং সাইফুল হাসান,মেয়ে সুলতানা ইয়াসমিন,শারমিন জাহান ও শাহনাজ বেগম ভাই-বোনরা মিলে স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যু ফজলুল হক মুন্সির ছেলে জহিরুল হক লিপনকে তাদের ভাগের জমি দেখে শুনে রাখার জন্য গত ১৭-৫-২০১৭ ইং তারিখে আদালতের মাধ্যমে পাওয়ার দিয়েছেন।

অপরদিকে আবি আবদুল্লাহ আরেক সন্তান মাহাবুব আলম হিরন কবির তাদের ৩ একর ১০ শতাংশ জমি থেকে ৫ থেকে ৬ শতাংশ জমি জনৈক তৃতীয় ব্যাক্তির নিকট বিক্রি করে দেন।

যা পরবর্তী সময়ে আলি হোসেন সেই জমি ক্রয় করে আস্তে আস্তে উক্ত এলাকার আশেপাশের জমি গ্রাস করার উর্দেশ্যে বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে লিপনের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ধিরে ধিরে আলি হোসেন ইতি মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল হক লিপনের মৃত্যু পিতা ফজলুল হক মুন্সির গনপাড়ার মৌজার ৫৭৮/৫৭৯ খতিয়ানের, ১৭৭৬,১৭৭৭ ও ১৭৭৮ দাগের পৈত্রিক ১ একর ২১ শতাংশ জমি থেকে আলি হোসেন এর মধ্যে সেখান থেকে ভিতরে প্রবেশ করে ১ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে।

জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জমি নিয়ে আদালতে বিচারাধীন মামলা থাকা সত্বেও আলি হেসেন ভূমি ব্যাবসায়ী আদালতকে পাত্তা নাদিয়ে অবৈধ টাকার জোড়ে নিজস্ব বাহিনী গড়ে কাশীপুর এলাকায় দিনের পর দিন মানুষের জমি দখল করে উক্ত জমির মালিকদের নিঃশ করে নিজে টাকার পাহাড় গড়ে ধরাকে সরা মনে করছেন না।

সেই সঙ্গে আলি হোসেন কাশীপুর এলাকায় একজন ভূমিদস্যু হিসাবে ব্যাপক নিজেকে পরিচিত করেছে বলে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।

এদিকে গত ৩ই জুলাই বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে আলি হোসেন তার বাহিনী নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রাদীতে সজ্জিত হয়ে ফজলুল হক মুন্সির ছেলেদের ভোগ করা জমিতে প্রবেশ করে বেশ কিছু গাছ কেটে নেয়া সহ মোঃ এমদাদুল হক মুন্সি সহ বাড়ির মেয়েদের শ্লীলতাহানী করে এবং এসময় তারা বলে যায় এব্যাপারে বাড়াবড়ি করলে বোমা মেরে বাড়ি-ঘড় উড়িয়ে দেয়া হবে হুমকি দিয়ে যায়।

এব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জহিরুল হক মুন্সির বড় ভাই মোঃ এমদাদুল হক লিটন মুন্সি বাদী হয়ে আলি হোসেন মাঝি সহ ৬ জন সহ আরো অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এখবর ইতি মধ্যে রহস্যজনকভাবে থানায় মামলা দায়েরের খবর অলি হেসেনের কাছে চলে আসায় তারা গোপনে আদালতে বাদীর অনপুস্থিতে ২ দিনের মধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেড় হয়ে এসে এলাকায় বীরদর্পে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।

এলাকাবাশীরা জানায় এই মূহুর্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু আলি হোসেনের লাগাম টেনে ধরা নাহলে সামনের দিকে এই এলাকায় জমিকে কেন্দ্র করে যেকোন সময়ে খুনাখুনি সহ রক্তের হলিখেলার মত ঘটনা বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তাই এলাকাবাশীর সাধারন মানুষ আলি হোসেন কর্তৃক মানুষিক নির্যাতন,অত্যাচার আর সাধারন মানুষের জমিটুকু রক্ষা করে বেচে থাকার শেষ অবলম্ভন নিয়ে বেচে থাকার জন্য নগর পিতা,স্থানীয় প্রশাসনের কাছে শান্তিতে বসবাস করার প্রত্যাশা কামনা করছেন।
এবিষয় আলি হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে ১৫ সালের মধ্যে আয়সা খাতুনের ছেলে রতন কবির,হারুর অর রসিদ,হিরন কবির মাহাবুবদের কাছ থেকে ১৭৭৪ও ১৭৭৫ দাগের বিভিন্ন সময়ে ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করি।

আমি যে জমিতে বালু ভরাট সহ দেয়াল নির্মাণ করেছি তা এসময় ছিল পুকুর উক্ত জমি আমার প্রয়োজনে তারা সরকারী ভাবে মাফ দিলে কার কোথায় জমি তা বেড় হয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে আলি হোসেন বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে আদালত মামলার গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যা মামলার কাগজ সূত্রে জানা গেছে।