ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ বরিশাল থেকে ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর-খুলনাসহ সাত রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে কমিশনার রামচন্দ্র দাসের আহ্বানে সোমববার সন্ধ্যায় বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি ও ঝালকাঠি জেলা বাস মালিক সমিতি সমঝোতা বৈঠক বসে। বৈঠকে দ্বন্দ্ব নিরসন করে সাত রুটে সরাসরি বাস চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বরিশাল থেকে এসব রুটে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, প্রায় দেড় মাস পূর্বে বরিশাল রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য চাদা না পেয়ে ঝালকাঠি শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্যকে মারধর করে। এর বিচারের দাবীতে অভিযোগ দিলেও বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি বা শ্রমিক ইউনিয়ন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিমপাড় ঝালকাঠি অংশ থেকে অস্থায়ী বাস টার্মিনাল থেকে ঝালকাঠির ৭টি রুটে বাস চলাচল করতো। বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপে ঝালকাঠি শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও লাইন সম্পাদক মিলনকে মারধরের ক্ষমা চেয়ে আর এমন হবে না বলে মুচলেকা দেয়। সেই সাথে মিলনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করায় আমরা আমাদের ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ৭টি রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেই। রুটসমূহ হলো ১. বরিশাল-খুলনা, ২. বরিশাল- পিরোজপুর ৩. বরিশাল-ভান্ডারিয়া ৪.বরিশাল-মঠবাড়িয়া ৫. বরিশাল- পাথরঘাটা ৬. বরিশাল- ঝালকাঠি বা ঝালকাঠি বরিশাল ০৭. ঝালকাঠি- ভান্ডারিয়া। সোমবার সকাল থেকে এসব রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুন শনিবার সকাল ৮টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজন স্ট্যান্ড ফি বাবদ ঝালকাঠি আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক ও রংধনু পরিবহনের বাসচালক মিলনের কাছে দুইশ টাকার স্থলে ১২০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। শ্রমিক নেতা মিলন এই অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বরিশাল বাস মালিক সমিতির লোকজন তাকে জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে অন্য শ্রমিকরা মিলনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন থেকেই বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ৭রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।