বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামে নির্মাণাধীন ৪০ লাখ টাকা মূল্যের কালভার্ট (বক্স কালভার্ট) হস্তান্তরের আগেই ফাটল ধরায় ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ফাটল ঢাকার জন্য ঠিকাদার সিমেন্ট-বালুর প্রলেপ ব্যবহার করেছেন, তবে তা চাপা রাখতে সক্ষম হননি।
২৪-২৫ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকল্পে “সালেহা কবির এন্টারপ্রাইজ” ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার মো. মনিরের অধীনে ব্রিজ নির্মাণ হয়। গাইডওয়াল নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা কাজের যথাযথ তদারকি করেননি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, দরপত্রের শর্ত অনুসারে ১৬ মিলিমিটার রড ব্যবহার করা উচিত ছিল, কিন্তু ১২ মিলিমিটার রড ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট-বালু মান নিয়মানুযায়ী দেওয়া হয়নি এবং কিছু কাজ রাতের আঁধারে সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার মো. মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সোহেল হোসেন বলেন, “ফাটলের বিষয়টি শুনেছি। কাজ হস্তান্তর হয়নি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পিয়ন দিয়ে তদারকির অভিযোগ অস্বীকার করি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, রাতের আঁধারে কাজ করার অভিযোগের পর ব্রিজ পরিদর্শন করা হয়েছিল। দিনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাটল ধরা গাইডওয়াল পুনরায় পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৪০ লাখ টাকার বক্স কালভার্ট হস্তান্তরের আগেই ফাটল ধরার ঘটনা ঘটেছিল, যা স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও কোন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার স্থানীয়রা অপেক্ষায় রয়েছেন, নতুন ঘটনার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।