স্টাফ রিপোর্টার : যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে দেখতে গেলেন বরিশাল সিটি কের্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার গুরুতর আহতের খবর পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে দেখতে যান তিনি। এসময় তিনি গুরুতর আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
উল্লেখ্য, বরিশালে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় যমুনা গ্রুপের কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত হন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। আহত সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী। আটক কাভার্ডভ্যানচালক জলিল সিকদার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।
ঘটনার বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দফতর) হাবিবুর রহমান খান বলেন, সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় যমুনা গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যান বরিশাল যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতির কারণে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া কাভার্ডভ্যানটি থামানোর সংকেত দেন। তা অমান্য করে কাভার্ডভ্যানটি দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন চালক। সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ট্রাকের সামনে গিয়ে পথরোধ করলে কাভার্ডভ্যানটি তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরবর্তিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেয়া হয়।