বরিশাল প্রেস ক্লাবের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও সড়কের পাশে তার ভাগ্নের স্ত্রীর নামে নির্মিত শিশু পার্কটি দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে ভাঙচুর শুরু করে একদল লোক। তবে এ সময় নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম সাহেদ বলেন, মহাসড়ক দখল করে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিসহ বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এটি একটি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন। দেশে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৫ অগাস্ট ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করা হয়েছিল। পরে ছাত্র-জনতা নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা লেকের পাশে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ওপর আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রয়াত সাহান আরা বেগমের নামে নির্মিত পার্কটি ভাঙচুর করে।
এ দম্পতির ছেলে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহাসড়কের উপর ওই পার্কটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে এ ঘটনার আগেই পার্কটি ভেঙে ফেলার জন্য বরিশাল সড়ক বিভাগ দরপত্র আহ্বান করেছিল।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে নগরীর কালিবাড়ি সড়কে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বাসভবন ‘সেরনিয়াবাত ভবন’ ভাঙচুর করা হয়। পরে রাত ২টার দিকে নগরীর বগুড়া সড়কে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর ‘হোয়াইট হাউজ’ (বাড়ি) বুলডোজার দিয়ে দুটি বাসভবনের আংশিক এবং একটি টিনের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় বাসার ভেতর থেকে মালামাল বের করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে কিছু লোক মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা বাধা দেয়। রাত ৩টা পর্যন্ত ভাঙচুর চালায় ছাত্র-জনতা।
এর আগে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দুটি বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে দুটি বাস ভবনে কেউ থাকতেন না।