• ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো কলেজ ছাত্রী

admin
প্রকাশিত জুলাই ২, ২০১৯, ১৩:৪২ অপরাহ্ণ
বরিশালে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো কলেজ ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল সরকারী হাতেম আলী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াংকা সরদারকে বরিশালের একটি ভাড়াটিয়া বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। গত ১৯ জুন রাতে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে স্বজনদের না জানিয়েই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন ভারাটিয়া বাসার মালিকের ছেলেসহ অন্যান্যরা। ঘটনার ৩ দিন পরে ২৩ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হলে গত রাতে তার মৃত্যু হয়।

ছাত্রী ভাই স্বজলসহ তার স্বজনদের অভিযোগ ধর্ষনের পর তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি কোতয়ালী থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো : নুরুল ইসলাম।

ওই ছাত্রীর ছোট ভাই উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের মুন্সিরতাল্লুক গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় সরদার মোবাইল ফোনে (০১৭৪৭-৭২৮৩৪১) জানান, তার বোন বরিশাল হাতেম আলী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষেও ছাত্রী। গত ৩-৪ বছর ধরে সে বরিশালের বিভিন্ন মেসে ভাড়া থেকে পড়াশুনা করছে। গত ৬-৭ মাস আগে বিএম কলেজের সামনে তালভিটা দ্বিতীয় গলিতে বেলায়েত হোসেনের বাসা খান ভিলার একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। একই বাসায় থাকতেন মালিকের স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও তার ছোট ছেলে সোহেল খান।

গত ১৯ জুন রাতে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর দিন মোবাইল ফোনে তাদের জানানো হয় প্রিয়ংকার জ্বর হয়েছে। তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তারা বরিশাল ছুটে গেলেও তার বোনের সাথে কথা বলতে পারেন নি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওই ছাত্রীর ভাই সঞ্জয় বলেন, তার বোনের গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জ্বর হলে নিশ্চয়ই অসুস্থতার কথা আমাদের জানাতো। এছাড়া হাসপাতালে আসার পর তার বোনের সাথে কোন কথা বলতে পারেন নি তারা। তাদের ধরনা ধর্ষনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। সঞ্জয় আরো বলেন আমরা গ্রামে থাকি। আমাদের পরিবার অস্বচ্ছল। আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই। বিষয়টি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খান ভিলার মালিক প্রয়াত এস এসপি বেলায়েত হোসেন খানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, কি হয়েছে তা বলতে পারবো না। রাতে গোঙরানীর শব্দ শুনে ওর ঘরে গিয়ে দেখতে পাই বাথরুমের পাশে মেঝতে পরে আছে। পরে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে ঘটনার পর পরিবারের সদস্যদের কেন জানানো হয়নি এ বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি তিনি।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো : নুরুল ইসলাম পিপিএম বিডি ক্রাইমকে বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েই তিনি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তাৎক্ষনিক তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি ঢাকার শাহাবাগ থানার ওসি, এসি ও এডিসিকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যব্স্থা নেওয়া হবে।