বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: বরিশালে একটি বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
গ্রাহকের দাবি, এই টাকা তিনি জমা দিয়েছেন কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা তা জালিয়াতি করে সরিয়ে ফেলেছেন। তবে ব্যাংক বলছে, টাকাটা ভুল করে সেই হিসাবে চলে গিয়েছিল।
সেটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওই টাকার মালিক সেই ব্যক্তি নন। তবুও তিনি তার মালিকানা দাবি করছেন।
প্রিমিয়াম ব্যাংকের বরিশাল শাখার ওই হিসাবের মালিক তিশা এন্টারপ্রাইজের মালিক ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার মনিরুল ইসলাম খান।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আদালতে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার নামে মামলার আবেদন করেন।
বিচারক মাসুম বিল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে উপপরিদর্শক সমমর্যাদার কোনো গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমার জন্য মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনারকে আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কে এম সুলতান জানান, মামলার আসামিরা হলেন প্রিমিয়াম ব্যাংকের বরিশাল শাখার ইনচার্জ সাইফুর রহমান সরদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল আলম ও সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. অসিউদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর মনিরুল প্রিমিয়াম ব্যাংকের বরিশাল শাখায় ১৪ লাখ টাকা জমা দেন।
এরপর ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে দেখেন তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। বিষয়টি ব্যাংকের ওই কর্মকর্তাদের জানালে তারা এ বিষয়ে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকেন।
এ বছরের ১৪ জুন মনিরুল এ বিষয়ে জানতে আসামিদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। এর জবাবে তারা জানান, আইনি নোটিশের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ওই অ্যাকাউন্টে ভুল করে ১৪ লাখ টাকা জমা পড়ায় তা ভাউচারের মাধ্যমে তুলে নেয়া হয়।
এরপর তিনি অ্যাকাউন্টের হিসাব বিবরণী তুলে দেখেন, তার সই জাল করে ১৪ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।
মনিরুল জানান, তার কাছে টাকা জমা দেয়ার রশিদ আছে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সই জাল করে ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তা তার টাকা তুলে নিয়েছেন।