• ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বরিশালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি ফার্ম উন্নয়ন বিষয় নিয়ে খামারিদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত নভেম্বর ১০, ২০২১, ১৬:৫৭ অপরাহ্ণ
বরিশালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি ফার্ম উন্নয়ন বিষয় নিয়ে খামারিদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শামীম আহমেদ ॥ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন ও সংহতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে বরিশাল বিভাগে এ কর্মশালা আয়োজন করেছে। আজ বুধবার (১০) নভেম্বর সকাল ১০ টায় নগরের বিডিএস মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

 

বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদর (ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মোঃ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে।

 

এ জন্য সরকার প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত জনশক্তি দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

এ জন্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির জন্য সরকার কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তৃণমূল মানুষদের দক্ষ জনশক্তিকে পরিণত করতে না পারলে জাতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে না।

 

আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে জনশক্তিতে পরিণত হয়েছে। আগামীর লক্ষ্য তৃণমূল মানুষদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা। এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে চাই।

 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, প্রল্পের চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. গোলাম রাব্বানী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল এনিমেল হেলথ এসপার্ট একেএম মোস্তফা আনোয়ার।এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন, জুলিয়াস মাকামি, পিএইচডি ন্যাশনাল কনসালটেন্ট খান মো. শহিদুল হক।

 

কর্মমালায় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে আমরা মাংস্য, ডিমে সয়ং সম্পূর্ন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দুধে সয়ংসম্পূর্ন হব। তারা বলেন আমাদের মাংস্য ও দুধ উৎপাদন, বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে

 

কাজ করতে হবে। দেশীয় পদ্ধতিতে মাংস্য ঝুরিয়ে রাখা, ও দুধ বহনে বোতল, কন্টিন ব্যবহারে স্বাস্থঝুকি বাড়ে বলে এর সঠিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের কর্মীদের দক্ষতার মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা কৃষকদের গ্রুপ সাপোর্ট দেব। এলক্ষে সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানন বক্তারা।