• ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে প্রতিবেশীর হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে প্রতিবেশীর হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি

বিডি ক্রাইম ডেস্ক,বরিশাল ।।  বরিশাল নগরীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি এক অধ্যক্ষর হামলার শিকার হয়ে গোলাম মাওলা (৪৮) নামের এক ব্যাক্তি মাথায় গুরতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ড ফিশারী রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত গোলাম মাওলা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের পুত্র। অভিযুক্ত ব্যাক্তি হলেন, ঝালকাঠি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন। এঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

 

আহত এবং অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নং ওয়ার্ডের ফিশারি রোড এলাকায় বেশ কয়েক বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন গোলাম মাওলার পরিবার। দীর্ঘদিন যাবত ঐ এলাকায় কোন ঝামেলা ছাড়াই বসবাস করতে থাকেন গোলাম মাওলার পরিবার। তবে গত বৃহস্পতিবার গোলাম মাওলার বাড়ির প্রবেশ পথে তারই প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন (৫৫) বাঁধা সৃষ্টি করতে একটি খুটি দিয়ে বেড়া তৈরী করেন। পরবর্তীতে ঐ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোলাম মাওলা তার সন্তানকে কোচিং থেকে বাসায় ফিরে খুঁটির বেড়া দেখে সেইটা সরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন।

 

 

এদিকে গোলাম মাওলা বাড়িতে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন তার দেয়া খুঁটির বেড়া না দেখতে পেরে গোলাম মাওলাকে ডাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বাহিরে আসলে হেমায়েত উদ্দিন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় গোলাম মাওলা তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হেমায়েত উদ্দিন একটি কাঠের খুঁটি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে গোলাম মাওলা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হেমায়েত উদ্দিন ও তার জামাতাসহ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়।

 

 

তখন গোলাম মাওলার ডাক চিৎকার শুনে তার স্ত্রী ও স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাঁসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান,গোলাম মাওলাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আশা হয় তখন তার মাথায় গুরতর কাটা রক্তাক্ত যখম হয়। এতে তার মাথায় ৪টি সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 

এঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার তদন্ত অফিসার লোকমান হোসেন জানান,মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।