বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টেকসই, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীর হোটেল শেডোনার হলরুমে দিনব্যাপী এই সভার আয়োজন করা হয়।
এটি ‘ফানসা নেটওয়ার্ক’-এর সহযোগিতায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস বাস্তবায়ন করেছে। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (চ.দা.) ডা. খন্দকার মনজরুল ইসলাম শুভ্র, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী, আভাসের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কাগজ, ফানসা বিডি নেটওয়ার্কের সদস্য, স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নারী নেত্রী, শিক্ষক এবং যুব সংগঠকরা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আভাসের নারী কর্মী ও প্রজেক্ট অফিসার কান্তা দে।
সভায় বক্তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ওয়াশ পরিষেবা আরও উন্নত করা হবে।
প্রধান অতিথি রেজাউল বারী বলেন, “নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে যেসব এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থার মান কম, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।”
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমান বলেন, “বরিশালের বেশ কিছু এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে লাকুটিয়া খালপাড় এবং বিভিন্ন বস্তি এলাকায় অধিকাংশ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত ও অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ এবং পর্যাপ্ত স্যানিটারি সুবিধার অভাবে স্থানীয়রা নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। তাই এই এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা অতি জরুরি ভিত্তিতে উন্নত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ’ অনুযায়ী, নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবহারের দিক থেকে বরিশালের মানুষ এগিয়ে। তবে বরিশাল সিটির অনেক এলাকায় এখনও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার ব্যবহার সীমিত এবং পরিবারগুলোর ২৫ শতাংশ শৌচাগার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।