• ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে জেলা প্রশাসকের অনুরোধ রাখছেন না এনজিওর কর্মীরা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মার্চ ২৪, ২০২০, ১৩:০১ অপরাহ্ণ
বরিশালে জেলা প্রশাসকের অনুরোধ রাখছেন না এনজিওর কর্মীরা

এইচ আর হীরা ॥ প্রাণঘাতী করোনার আতঙ্কে ধীরে ধীরে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না বরিশালে এনজিও’র কিস্তি।

 

২৩ মার্চ বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এনজিও’র কিস্তি নেয়া বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। তাও মানছে না মাঠে থাকা এনজিও কর্মীরা। আজ সকালে বরিশাল নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার ২২নং ওয়ার্ডে দেখা যায় এই চিত্র।

 

আশার এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে টাকা তুলছেন। অনেকে কিস্তি দিতে অনীহা প্রকাশ করলেও মানছেন না তারা। আবার অনেকেই নাম প্রকাশ করছেন এই ভেবে যে, পরবর্তীতে নতুন লোনের সময় ঝামেলা করবে, টাকা পাবে না। তাই দরিদ্র মানুষগুলো কষ্ট হলেও বাধা দিচ্ছেন না।

 

স্থানীয় বাসিন্দা নূর নবী জানান,অটো চালিয়ে সংসার চালাইয়া খাই,করোনার পান্নে কোনো ইনকাম বানিজ্যই নেই।ঘরের মানুষের খাওনের টাহাই জোগার করতে পারিনা হেইয়ার মধ্যে কিস্তি দিমু কোমনে দিয়া।তিনি আরো বলেন,আইজ সকালে কিস্তির স্যারে আইয়া টাহা চাইছে,পরে কি করমু একটা ডিপিএস আছিলো হেইডা ভাইংগা হেরপর কিস্তির টাহা দিছি।

 

এদিকে কিস্তির টাকা তোলার মাঠকর্মী (এলো)কাওসার বলেন, আমাদের উপরের নির্দেশে মাঠে এসে কিস্তি নিচ্ছি। যখন তারা নিষেধ করবে তখন আমরা আসবো না। আশার বরিশাল রুইয়া ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফোরকান বলেন, টাকার লোন নিচ্ছেন কিস্তি দিবে এটাই তো নিয়ম। তারা আবার লোন নিবে। আর ২৬ তারিখ পর্যন্ত কিস্তি নেয়া হবে এমন নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। আমাদের হেড অফিস থেকে কিস্তি না নেয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দেশ পাইনি আমরা পাইলেই বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসকের এক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সরকারিভাবে কিস্তি নেয়া সম্পূর্ণ নিষেধ আছে। কোনো এনজিও’র কিস্তি তোলা যাবে না পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত। এরকম অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।