• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে জাল সনদে স্কুলের সভাপতি বিএনপি নেতা, অভিযোগে হারালেন পদ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত আগস্ট ৮, ২০২৫, ১৭:৩৯ অপরাহ্ণ
বরিশালে জাল সনদে স্কুলের সভাপতি বিএনপি নেতা, অভিযোগে হারালেন পদ

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে জাল সনদের অভিযোগে ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে মো. সোহাগ হাওলাদারকে বাতিল করেছে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অভিযুক্ত সোহাগ হাওলাদার উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ বারেক হাওলাদার ছেলে ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদপত্র দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া নিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তি করে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সোহাগ হাওলাদারের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। এতে শিক্ষা বোর্ডে জমা দেওয়া অভিযুক্ত সভাপতি সোহাগ হাওলাদারের বিবিএ সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নোটিশ জারি করে শিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ এর ধারা ৭২ অনুযায়ী বর্ণিত কমিটির সভাপতির পদ বাতিল করা হয়েছে। জানা গেছে, ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিতে নিযুক্ত বিএনপির নেতা সোহাগ হাওলার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাশের সনদ জমা দিয়েছিলেন। ওই সনদ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্থানীয় মো. সাইফুল ইসলাম (২৫) জুন সনদ যাচাইয়ের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোহাগের বিবিএ পাসের সনদটি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় নয় বলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আবেদনকারী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, মো. সোহাগ হাওলাদার সনদটি জাল সে বিষয়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মহসীন ভূঁইঞার পাঠানো প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তিনি বলেন, ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন এবং অভিযুক্ত মো. সোহাগ হাওলাদারকে মূল সনদ নিয়ে বোর্ডে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছিল। তিনি তার স্বপক্ষে যথাযথ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে কমিটির সভাপতি পদ থেকে তাকে বাদ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আনিচুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠানো বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি পদ থেকে সোহাগ হাওলাদারকে বাতিলের নোটিশ হাতে পেয়েছি।