শামীম আহমেদ ॥ নির্ধারিত সময়ে ঘাটে পৌছুতে না পারায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসা এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ভাংচুর করার অভিযোগে উঠেছে যাত্রীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে মাঝ নদীতে এ ঘটনা ঘটে, পরে লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে ভিড়লে ৫ যাত্রীকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ । যদিও পরবর্তীতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, দুপুর একটায় ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। লঞ্চ ছেড়ে আসার পূর্বে যাত্রীদের জানানো হয়েছিলো রাত আটটার মধ্যে নৌ- বন্দরে ভিড়বে।
কিন্তু লঞ্চ নির্ধারিত সময়ে পৌছুতে পারেনি। তাই লঞ্চের কিছু বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা ভাংচুর করেছে। লঞ্চটি রাত ১০টায় বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে, হামলার অভিযোগে ৫ জন যাত্রীকে নৌ পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সকলের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন বলেন, লঞ্চ ঘাটে পৌছুতে দেরী হওয়ায় কিছু যাত্রী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। তারা লঞ্চের মাষ্টার ব্রিজে গিয়ে রাডারের গ্লাস, দুটি ফ্যান ভাংচুর করেছে। পরে তারা নিচে নেমে এসে টিকিট কাউন্টারের টেবিল চেয়ার ভেঙ্গে ফেলেছে। তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করে ফেলা হয়েছে। এদিকে লঞ্চের যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে যে সময়ে ছাড়ার কথা ছিল, তার থেকে কয়েকঘন্টা বিলম্ব করলে সবাই বিক্ষুব্দ হয়ে যায়।
ঢাকার সদরঘাটেও যাত্রীদের সাথে লঞ্চের স্টাফদের ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে লঞ্চ দেরিতে ছেড়েও নির্ধারিত সময়ে সেটি ঘাটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও, ধীরগতিতে চালিয়ে মধ্য রাত করা হয় বরিশালে পৌঁছাতে। এতে কিছু যাত্রী ক্ষুব্দ হয়ে মাস্টার ব্রিজে গিয়ে হট্টগোল করেন। লঞ্চের মাষ্টার ব্রিজ কিংবা চালনা কক্ষের স্টাফরা জানিয়েছেন, প্রথমে একজন যুবক হট্টগোল বাধায়। তারপর তার ইন্দোনে ৬০-৭০ জন লোক ব্রিজে হামলার চেষ্টা করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং লঞ্চ আরও গতিতে চালাতে বলে। এসময় তারা ব্রিজের সামনের অংশ ঘিরে রাখলে কিছু দেখতে না পেয়ে চরে বেধে যাওয়াসহ দুর্ঘটনার শংকাতেও ছিলাম আমরা। শত অনুরোধ করার পরও তারা মাষ্টারসহ সবাইকে মারতে উদ্যত হয় এবং দুটি ফ্যান ও রাডারের গ্লাস ভাংচুর করে।