বরিশালে করোনায় স্পিডবোট মালিকদের পৌষ মাস ( ভিডিওতে দেখুন)
বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২১, ১৯:১৭ অপরাহ্ণ
বিডি ক্রাইম ডেস্ক ॥ করোনা মহামারীতে পুরো বিশ্ব যখন করোনার ভয়াবহতায় থর থর। তার বাইরে নয় বাংলাদেশ।
প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তাই সরকার জনগনের কথা চিন্তা করে চলতি মাসের ৬ তারিখে লগডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
লগডাউনে কিছু শিথিলতা আনা হলেও সামাজিক দূরত্ব এবং মাক্স ব্যবহারে কঠোর করা হয়। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো বরিশাল ডিসি ঘাট এলাকায়।
সেখানে বসে লোক গাদাগাদি করে প্রতিস্পিডবোটে ৮জন করে লোক নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সরকারের কোন কিছুই যেন তোয়াক্কা করার সময় নেই তাদের। তবে বরিশালে সন্ধ্যার পরে স্পিডবোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে চলে তা।
প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে স্পিডবোট।
জানা গেছে, স্পিডবোট মালিক সমিতি থেকে মোটা অংকের টাকা যায় মিডিয়া ম্যানেজে। সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল থেকে সারা দেশে নৌ-পথের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় স্পিডবোট মালিক ও চালকরা এই সুবিধা নিচ্ছে।
বরিশাল থেকে ভোলাসহ বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় চলাচল করে স্পিড বোট। বরিশাল থেকে ভোলা ২৫০ টাকার ভাড়া এখন ৪০০টাকা।
রাতের আধারে আরো বেড়ে যায়, ভাড়া। তখন বাংলার কথায় গলা কাটা হয় যাত্রীদের। তবে সকল কিছুকেই এড়িযে গেলেন বরিশাল স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম।
তিনি জানান, ইমারজেন্সী ছাড়া কোন স্পিডবোট ছাড়া হয় না।তিনি আরো জানান, আমাদের এখানে প্রশাসনের লোকজন বসাই থাকে তারাও দেখে।
অভিযোগ রয়েছে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের নানাবুড়ি ফাঁড়ি ও কোতয়ালী মডেল থানার কিছু অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই চলছে এই কর্মকান্ড।
এব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, কেউই আইনের উর্ধে নয় আমাদের কোন সদস্য এই কর্মকান্ডের সাথে জরিত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর স্পিডবোট চলতে হলে অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিষয়টি আমি দেখছি বলে জানান কোতয়ালী মডেল থানার এই কর্মকর্তা।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম- বার জানান, রাতে স্পিডবোট চলাচল খুবই ঝুকিপূর্ণ এটা হতে দেয়া যাবে না।
আর স্পিড বোট চলতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে এই এটা নিয়ে চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করা হবে। এব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।