স্টাফ রিপোর্টার
বরিশালে এক সেনেটারী ব্যাবসায়ী ও তার স্ত্রী, সন্তান নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ ওই সেনেটারী ব্যবসায়ী দিলিপ কুমার রায় বরিশাল নগরের ফরেস্টার বাড়ীর পুল এলাকার হুমায়ুন কবীরের বাসার ভাড়াটিয়া। এবং নগরের সদরোডস্থ এ আর ট্রেডিং নামের সেনেটারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন।
নিখোঁজের ঘটনায় দিলিপ রায়ের মা মায়া রানী রায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন। যার ডায়রি নং ৭২। গত ২৮ মে ছেলের সন্ধান না পেয়ে গত ২ জুন তিনি থানায় সাধারন ডায়নি করেন।
দিলিপ রায়ের সাথে তার স্ত্রী সূবর্ণা রায় , সন্তান অরণ্য রায় (১৫) এর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।
দিপিল রায়ের মা মায়া রানী জানান, আমার সব ছেলেরা যে যার মত করে ব্যবসা বানিজ্য ও চাকুরী করে। তাই কারো সাথে কারো যোগাযোগ নেই। মাঝে মধ্যে ফোন করে কথা বলতো আমার সাথে। নিজস্ব বাড়ী না থাকায় সকলের ভাড়া বাসায় যে যার মতো করে থাকে।
এবিষয়ে দিলিপ রায়ের মা মায়া রানী রায় আরো জানান, দির্ঘ ১ মাস ধরে আমার ছেলে ও তার স্ত্রী সন্তান নিখোঁজ রয়েছে। এঘটনায় আমি বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জানাগেছে, দিলিপ বরিশাল নগরীতে সেনেটারী দোকান নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার কাছে ব্যাংক এবং স্থানীয় কিছু ব্যাক্তির সাথে অর্থ লেনদেন হয়েছে। অনেকে ধারনা করছে দেনার টাকা পরিশোধ না করতে পারায় দিপিল স্ত্রী সন্তান নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
তবে পরিবার সুত্র বলছে দিপিল যদি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তা হলে সে নিজের দোকানের মালামাল রেখে পালিয়ে যাবে কেন? দোকানের মামলামাল বিক্রি করে বা সরিয়ে ফেলে পালিয়ে যেত পারতো।
ওই এলাকার স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, নগরের সদরোডস্থ শহীদ মিনার এলাকায় বেশ কিছু লোক অধিক লাভের আসায় সুধে ব্যবসা করে। অনেকেই ব্যবসা করার জন্য ওই সব লোকদের কাছ থেকে অর্থ নিতো। তবে তা আদৌ লিখিত পরিত আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
দিলিপের পরিবার সুত্রে আরো জানাযায়, দিলিপ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার গোদন্ডা গ্রামের বিয়ে করে। তার স্ত্রী ওই এলাকার রানু দাসের পালিত মেয়ে। দিপিল নিখোজ হওয়ার ঘটনার বিষয়ে রানু দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আর দিপিলির স্ত্রী আমার কোন পালিত মেয়ে নয়। ওরা নাপিত আর আমরা কায়েস্ত। তিনি বলেন, দিলিপের স্ত্রী সূবর্ণা রায় এর বাবা অসুস্থ ছিলো। আমি ছোট বেলা থেকেই ওদের দেখা শুনা করেছি। বড় হয়েছে বিয়ে দিয়েছি। তবে দিলিপ ভালো ছেলে । ও টাকা পয়সার জন্য হয়তো গা ঢাকা দিয়েছে। এজন্য জিডি করার কি দরকার আছে হয়তো কোথাও ! ও তো এখন আর ছোট নয় যে হারিয়ে যাবে।
দিলিপির আপন শ্বাশুরী কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানেননা বলেও জানান। এছাড়া রানু দাসের ছেলের সাথে দিলিপির যোগাযো বা কোন লেনদেন আছে কিনা সেবিষয়ে রানু দাস বলেণ, আমার ছেলে ঢাকায় আছে। দিলিপের কথা ও জানেনা। ঢাকার কোথায় থাকে আর ফোন নম্বর আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেণ আমি জানিনা। এছাড়াও তিনি বিষটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
দিলিপের মা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এখন কেউ নিখোঁজ হলে মনের মধ্যে ভয় যাগে। আদৌকি টাকা পয়সা নাকি অন্য কোন কারন। নাকি আমার ছেলেকে টাকা পয়সার জন্য কেউ গুম করেছে। আলাদা পরিবার নিয়ে থাকার কারনে দিপিল আমাদের সাথে এসব বিষয়ে কিছুই আলাপ করেনি।
শুনেছি, ও যেখানে ব্যবসা করে সেখানের কিছু সংখ্যক লোক টাকা পায় বলে দাবি করছে। তবে সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই।