নিজস্ব প্রতিবেদক।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মাসোহারা দিয়ে চিংড়ি রেনু ও মাদকের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছেন ছাত্রদল নেতা রনি ও শ্রমিকদল নেতা পাতিল হারুন। বরিশাল বিভাগের কিছু অসাধু পুলিশ, মৎস্য কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা টুলু ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। প্রতিনিয়ত বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক প্রজাতির লক্ষ লক্ষ বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেনু পোনা পাচার করছে তারা। যার ফলে মৎস্য খাত নিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির মূখে পড়ছে সরকার। বরিশাল সদর উপজেলার নেহালগঞ্জ খেয়াঘাট ও পাথরঘাটার চরদুয়ানি মৎস্য উপকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ভোর রাতে গড়ে ১৮টি ট্রাক গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু নিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট যায়। রেনু নামিয়ে দিয়ে এসব খালি ট্রাক ফেরার পথে বিপুল পরিমান মাদক চালান নিয়ে বরিশালে আসে।পরবর্তিতে মাদকগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে তার নিজ এলাকা পলাশপুরে বিক্রয় করেন রনি।
প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দেয়ায় ট্রাকগুলোকে চেক করা হয়না এবং ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা।সূত্র জানায়, রেনু পোনা পাচার কাজে এক সময়ের ছাত্রদল নেতা পরিচয়দানকারী পোর্ট রোডের সিকদার আরদের মৎস্য ব্যবসায়ী রনি বরিশাল নগরীর এক রাজনৈতিক নেতার নাম ব্যবহার করে এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ ব্যাপারে রনির ফোনে ফোন করা হলে রনি বলেন হারুন ভাই আর আমি বরিশাল পোর্টরোড এলাকার এক মৎস্য ব্যবসায়ী নেতার মাধ্যমে ওই রাজনৈতিক নেতাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি।এ ছাড়াও সাংবাদিক,কোষ্টগাট, নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, ফিসারি, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ, ফাঁরি পুলিশ , টহল পুলিশসহ জিরো থেকে উপর লেভেল সবাইকে মাসিক মাসহারা দিয়ে ব্যবসা করছি বলে হুংকার দেয় রনি। অবৈধ ভাবে রেনু পোনা পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে টুলু বলেন, বিগত বছর গুলোতে রেনু পোনা পাচারের বিষয়ে আমি সরাসরি কাজ করছি। এবার আমি সরাসরি কাজ করছি না। বরিশালে এক ভাইর লোক রনি ও হারুন বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে রেনু পোনা ট্রাকে বহন করে পৌছে দেয়। আমি সেগুলো নিয়ে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় বিক্রয় করি। তিনি আরও বলেন আপনাদের যদি কোন কথা থাকে তাহলে রনি ও হারুনের সাথে বলতে পারেন।