নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় মাকসুদা ওরফে কুসুম (৪০) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর হয়েছে।
আজ ২৭ জুন দুপুরে ওই নারীর মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে সকালে এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাকসুদার।
মাকসুদা কাউনিয়া থানাধীন ব্রাঞ্চরোড এলাকার বাসিন্দা মফিজের স্ত্রী।
মফিজ নগরের হাসপাতাল রোডে ওষুধের ব্যবসা করেন। মেয়ের মা লুৎফরনেছা জানান, মৃত্যু’র বিষয়ে তিনি মেয়ে জামাইকে সন্দেহ করেন না। বরং তার মেয়ের সাথে জামাইয়ের সু-সম্পর্ক ছিলো বলে দাবী করেন।
আহত হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ১৭ জুন রাতেও মেয়ের সাথে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তখনোও জামাই সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা বলে নাই।
মামলার বাদী মনিরও বিষয়টি রহস্য জনক বলে হত্যার জন্য ৩য় কাউকে সন্দেহ করেন। মারা যাওয়া মাকসুদা(কুসুম) এর বড় ছেলে আমান(১২) জানান, গত তিন দিন পূর্বে সে তার মায়ের জবানবন্দী মোবাইল ফোনে ধারন করে।
তাতে বাহিরের কোন পক্ষ উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে তার মাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। সে ব্যক্তিগত ভাবে তার বাবার ব্যাপারে মাকে জিজ্ঞেস করলে না সূচক মন্তব্য করেছেন বলেও প্রতিবেদককে জানান। মৃতের স্বামী মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বড় ছেলেকে নগরীর উদায়ন স্কুলে দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। এর ঘন্টাখানেক পর বাসার মালিকের ফোন পেয়ে বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তিতে শেবাচিমে ভর্তি করি।
দীর্ঘ ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে গতকাল সে মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানজিল বলেন, মাকসুদা বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় একা ছিলো। এদিকে মাকসুদার ভাই মনির তার বোনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মাকসুদার মৃত্যু নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে স্বজনদের। তাদের দাবি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে।
তবে সে শারীরিকভাবেও অসুস্থ ছিলো। তবে রহস্য থাকায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি খতিয়েও দেখা হচ্ছে।