বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার কাঁঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ এনে বিচার চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার তারা পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসলে তারা আর লেখাপড়া করবেন না।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনে শিক্ষার্থীরা।
প্রধান শিক্ষক তাকে শাসিয়ে দেন। পর দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। শুরুতে ওই ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তবে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে গত ছয় মাস ধরে তাকে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম গাজী একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এতে মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী মিতু, আশামনি, বৃষ্টি, হাফিজা, সোনিয়া, ফারজানা, হুমায়ূন, শামিম, ফজলে রাব্বি, মেহেদী ও ফেরদৌস জানায়, এ বিষয়ে আমরা প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। প্রধান শিক্ষক তাকে বহুবার শাসিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তিনি নিবৃত হননি। ওই শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে ফিরে আসে তাহলে আমরা আর লেখাপড়া করবো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডেকে শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে না মর্মে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা খন্দকার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন আমাকে জানিয়েছেন এক শিক্ষকের বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়টি আমি জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. মনিরা পারভীন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।