আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে জমি দখল করে মাছের ঘের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দেও অভিযোগ অসাধু বন কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বনের জায়গায় ঘের করা হচ্ছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদীর কূল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটারের পুরোটা জুড়েই ছইলা, কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে বনবিভাগ।
শ্বাসমূলীয় এসব গাছপালা বড় হয়ে ঘন জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার ্#৩৯;সবুজ দেয়াল্#ে৩৯; হিসেবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রামের আন্দারমানিক নদীতীরবর্তী বনের ছইলা, কেওড়া ও নানা প্রজাতির কয়েক’শ চারা গাছ কেটে খননযন্ত্র দিয়ে প্রায় ২ (দুই) একর জমি কেটে মাছের ঘের করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোনশের আলী মৃধার ছেলে বাবুল মৃধা ও আমজেদ আলী মৃধার ছেলে জাকির মৃধা নামে দুই প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
তারা সম্পর্কে দ’জন চাচাত ভাই। মাটির নীচে এবং পাশেই পরে আছে ছোট বড় বনের নানা প্রজাতির গাছ। এসকল বে-আইনী কার্যক্রম বন্ধে বন বিভাগের তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজশেই এ কাজগুলো চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাবুল মৃধা আর জাকির মৃধা যে ভাবে নিজের জমির মুখসা দাবী করে বন দখল করে মাছের ঘের করছে তাতে আগামী দিনে বন থাকবে না।
বনের জন্য ঝড় বইন্যায় আমরা মরনের হাত থেকে বেছে আছি। এই বন ধ্বংস হলে আমরা ঝড়েরর হাত থেকে কেউ রক্ষা পাবো না। অভিযুক্ত অভিযুক্ত বাবুল মৃধা, জাকির মৃধা বলেন, এটা আমাদের বাড়ির সম্মুখভাগ (মুখসা) এই জমি আমরা বন্দবস্ত নিয়েছি।
এখানে চিংড়ি মাছ চাষ করার জন্য ঘের খনন করছি। এখানে বনবিভাগের লোকজন আসছিলো তারা দেখে গেছেন।্#৩৯; ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধর্#া৩৯;র) তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক ও পরিবেশ কর্মী আরিফ রহমান বলেন, এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস ও দখল করছে একশ্রেণীর ভূমিদস্যু।
এসকল ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করা উচিৎ। তাছাড়া উপকূলীয় বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনের সচেতনতা মূলক প্রচার- প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।
শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন বিষয়টি আমি বনবিভাগের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, বনের জমি দখলকওে মাছের ঘের করার বিষয়টি নজওে আসার পর অভিযুক্ত দ’জনকে নোটিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দখল করা বনের জমি উদ্ধার ও বন উজাড়কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তিনি টাকার বিনিময়ে বনের মধ্যে জমি দখলে সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেন।
তালতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, এ বিষয়ে বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।