• ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ফের ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১৮:৪৪ অপরাহ্ণ
ফের ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ এবং পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে টানা ৩৬ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে এই আন্দোলন নতুন মাত্রা লাভ করে।

শিক্ষার্থীরা পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

গত ২৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা ২৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।

এরপর থেকে তারা নিয়মিত মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছেন। আজ (বুধবার) আবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়।

এ সময় আবাসন, পরিবহন ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম সব বিশ্ববিদ্যালয় সমান সুযোগ পাবে।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোকে অবহেলা করা হচ্ছে।

১৫ বছরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রাধান্য পাওয়ার কথা ছিল, তা পায়নি। আমরা আর বঞ্চিত থাকতে চাই না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দক্ষিণবঙ্গ অবরোধ করতে বাধ্য হব।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, ‘আমরা বারবার আল্টিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু সব আশ্বাসেই আটকে আছে।

জনদুর্ভোগ হলেও রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমরা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। সমস্যার লিখিত সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দেন যে, সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া এবং দক্ষিণবঙ্গ অচল করার মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।