এতে হাসপাতালের পরিচালক, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যে কর্মবিরতি পালন করছিল তা তারা প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করেছে। আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুটি কমিটি নিয়ে পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক তাসিন বলেন, আমাদের কমিটির ব্যাপারে যে এক পাক্ষিকতা দেখা গিয়েছিল সে ব্যাপারে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত এসেছে। আমাদের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বিসিসি মেয়র মিলে সমন্বিত করে আগামী শনিবারে কমিটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন এমন একটা আশ্বাস আমাদের দিয়েছেন।
আমরা সেই আশ্বাসে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি এবং আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, কমিটি ভাঙার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের মেয়র ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী স্যারের সাথে কথা বলেছেন। তাদের সমন্বিত যে সিদ্ধান্ত রয়েছে সেই সিদ্ধান্ত তারা জানাবেন। আপাতত যাতে আমাদের এখানে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয় সেটার ওপরে তারা জোর দিয়েছেন।আর আমাদের এখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
তিনি যদি আমাদের এখানে থাকতে বলেন, আমরা অবশ্যই থাকবো। প্রত্যাহার করতে বললে সেটিও করবো। আমরা মেয়রের প্রশ্নে আপোষহীন।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কমিটি নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল অর্থাৎ কর্মবিরতি, তার অবসান ঘটেছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কমিটির দু-অংশের সাথেই কথা বলেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর যৌথ উদ্যোগে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে এবং আশা করছি তারা কাজে যোগদান করবে। আর যেহেতু এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র মহোদয় যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। আপাতত এটুকু বলতে পারি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে।