North Korea's leader Kim Jong Un (top R) walks with South Korea's President Moon Jae-in (top L) down a red carpet past a welcoming ceremony to the official summit Peace House building for their meeting at Panmunjom on April 27, 2018.
North Korean leader Kim Jong Un and the South's President Moon Jae-in sat down to a historic summit Friday after shaking hands over the Military Demarcation Line that divides their countries in a gesture laden with symbolism. / AFP PHOTO / Korea Summit Press Pool / Korea Summit Press Pool
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেন, তখন তার চারপাশ ঘিরে ছিল সৈন্যদের বিশাল ব্যূহ।
সুগঠিত শরীর, শত্রুকে নিশানা করার নৈপুণ্য ও মার্শাল আর্টের দক্ষতা বিবেচনা করেই সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে কিমের দেহরক্ষী হিসেবে তাদের পছন্দ করা হয়েছে।-খবর এএফপির।
সুন্দর পরিচ্ছন্ন পোশাক, নীল ও সাদা ডোরা দাগের টাই পরা লোকজন কিমকে ঘিরে রেখেছেন। তিনি যখন সামরিক সীমারেখা পার হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন, তখন তার নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল এমন যে একটি পিঁপড়ারও এসব লোকের চোখ এড়িয়ে কিমের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।
দুই নেতা সকালের বৈঠক শেষ করলে স্ফীত পকেটের লেপাল ব্যাজ পরা একডজন লোক তাদের লাঞ্চের আগে কার্যক্রম শুরু করেন। কিমের অফিসিয়াল গাড়ির আশপাশে তারা জগিং করে এক ধরনের মানব ঢাল তৈরি রাখেন। এ সময়ে তাদের গলার টাই থেকে টপ টপ শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
পৃথিবীর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থার একটি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার। সেক্ষেত্রে তাদের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার কথা বলতে গেলে তুলনা করা হয় লৌহবেষ্টনীর সঙ্গে।
কিম যেখানে উপস্থিত থাকবেন, সেখানে কোনো বিদেশি অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে কয়েক ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও ফোন অবশ্যই সমর্পণ করে দিতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জন ইলের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কাজ করা রি ইয়ং গুক বলেন, বিদেশ ভ্রমণ, সামরিক ইউনিট ও খামার পরিদর্শনের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ছয় স্তূরের নিরাপত্তা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এটিকে পৃথিবীর অন্যতম এক কঠোর নিরাপত্তার চাদর বলা যায়। যার ভেতর দিয়ে একটি পিঁপড়াও প্রবেশ করতে পারে না।
দুই কোরিয়ার বহুল কাঙ্ক্ষিত ও ঐতিহাসিক বৈঠক শুরু হয় শুক্রবার সকালে। এতে নেতৃত্ব দেন দুই দেশের নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন।
দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিকীকৃত এলাকা (ডিমিলিটারাইজড জোন) পানজুনজাম গ্রামের পিস হাউসে বৈঠকটি শুরু হয়েছে। চলবে রাত অবধি।