আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইন্দুরকানী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই জন কনস্টেবল প্রত্যাহার করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার পুলিশ সদস্যরা—এসআই পলাশ সাহা, এএসআই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আল মামুন, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম। তাদেরকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের।এ ব্যাপারে পিরোজপুর পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, গত সোমবার বিকেলে বিস্ফোরণ মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তখন থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে সামাজিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল খানের গ্রেপ্তারে সংবাদ শুনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেয়। এতে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।