• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাওনা টাকা নিয়ে মালিক কর্মচারী দ্বন্দ্বে ষড়যন্ত্রের ধুম্রজাল

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০১৭, ১৭:১২ অপরাহ্ণ
পাওনা টাকা নিয়ে মালিক কর্মচারী দ্বন্দ্বে ষড়যন্ত্রের ধুম্রজাল

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড সোনামিয়অর পোল এলাকায় পাওনা টাকা নিয়ে মালিক কর্মচারী দ্বন্দ্ব ক্রমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রূপ নিচ্ছে। বিষয়টি এখন নগরীর টক অব দা ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। তথ্য মতে, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদারের সোনামিয়ার পোল বাজারে একটি কাঠের ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। যেখানে মাধব চন্দ্র সরকার নামে এক কর্মচারী দীর্ঘ ৫/৬ বছর যাবত নিয়মিত কাজ করে আসছিলো। গত মঙ্গলবার মাধবের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে নাসির হাওলাদারের হিসেব নিকেষ হয়। কিন্তু হিসেবে গড়মিল আছে বলে মাধব দাবী করে। এক পর্যায়ে কর্মচারী মাধব চন্দ্র সরকার মালিক নাসির হাওলাদারের গায়ে হাত তোলে এবং গায়ের জামা ছিড়ে ফেলে। ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এ খবরে স্থানীয় কিছু উঠতি যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে মাধবকে ধরে এনে চর থাপ্পর সহ মারধোর শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে ওই দিন-ই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর। খবর পেয়ে বিমান বন্দর থানার এ এস আই কামাল ছুটে এলে যুবকরা পালিয়ে যায়। মাধবকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই রাতেই পুলিশ হেফাজতে পুনরায় সোনামিয়ার পোলে নাসিরের দোকানে পৌছে দেওয়া হয়। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করে মালিক নাসির হাওলাদার। পরদিন বুধবার ভোর বেলা মাধব সরকার বিমান বন্দর থানায় একটি এজাহার করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোনামিয়ার পোল ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসরাম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সিপন, এ্যাডঃ রবিউল ইসলাম রিপন সহ বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিসী হয়। শালিসীর বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম এবং বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে জানিয়ে সম্মতি ক্রমেই অনুষ্ঠিত হয়। যা মাধব সরকারও মেনে নিয়ে সন্ধ্যায় (বুধবার) থানায় গিয়ে অনাপত্তি সহ এজাহার প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার কতিপয় আ’লীগ কর্মী। সূত্র জানায় তাদের চাপের মুখে ২দিন পরে বৃহষ্পতিবার পুনরায় মাধবকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী ও বিএনপি ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, মাধব তার দীর্ঘ দিনের কর্মচারী। ঝগড়া বিবাদ সহ তার পারিবারিক সুখ-দুঃখ সব বিষয়েই পাশে ছিলাম। মারামারির মতো তুচ্ছ ঘটনাটিকে ব্যাপক আকার ধারণ করিয়ে একটি মহল আমাকে হেনস্থা করা সহ ফায়দা লোটার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তবে ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বাবুল পুনরায় শালিসী করে বিষয়টি মিমাংসার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। আজ সেই শালিসী হওয়ার কথা। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি মালিক কর্মচারীর বিষয়। থানা-পুলিশের পূর্বে নিজেদের মধ্যে মিমাংসা হয়ে যাওয়াই ভালো। এ ব্যাপারে বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ৭ জনের নাম সহ অজ্ঞাতদের আসামী করে এজাহার করা হয়েছৈ। যার নং ১০/১৭। একই সাথে মাধব চন্দ্রের দেওয়া প্রত্যাহার পত্রও রয়েছে। এখন উভয় দিক বিবেচনায় রেখেই তথ্য উদঘাটনে আমাদের কর্ম প্রক্রিয়া চলবে।