পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া এলাকায় রুবেল হাসান বাবুর অনুপ্রেয়নায় ইমন, জুম্মান, রাসেল, হৃদয়, আজিজুল ও কাওসার জামদানি শাড়ী তৈরীর কারখানা গড়ে তুলেছেন।
দীর্ঘ ৪ বছর নারায়নগঞ্জের একটি জামদানি শাড়ী তৈরীর কারখানায় একাগ্রতার সাথে কাজ করে তারা হয়ে উঠেছে শাড়ী বুননের কারিগর। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নান্দাইল উপজেলার কচুরিয়া গ্রামে।
ইতিহাস বিশ্লেষনে জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে ঢাকার ডেমরায় জামদানি পল্লীর তাঁতিদের আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়।
তবে মেধা ও পারিশ্রমিকের অভাবের কারণে বর্তমানে তাঁতীরা আর এ পেশায় আসতে চাইছেন না।
কয়েক বছর পূর্বে ঢাকার মিরপুরে জামদানি পল্লী স্থাপিত হয়েছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানির চাহিদা এখনও রয়েছে। বর্তমান বাজারে জামদানির উচ্চমূল্য ও বিপুল চাহিদার কারণে বাংলাদেশের এই শিল্পে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গলাচিপা উপজেলার ইটবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা ইমনের ভগ্নিপতি জামদানি কারখানার প্রধান কারিগর।
তার সুবাদে এই এলাকায় তারা জামদানি শাড়ি তৈরীর কারখানা গড়ে তোলেন। মাত্র ৫ মাস আগে কারখানার যাত্রা শুরু করেন।
এ ক্ষুদে কারিগররা শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিনে ৩ টি শাড়ি তৈরী করতে পারে। উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি করে ৬০০-৭০০ টাকা লাভ হয়।
কারখানার মালিক রুবেল হোসেন বাবু বলেন, “আমি বিয়ে করছি ময়মনসিংহ থানায় । আমার শালা ঢাকায় একটি জামদানি শাড়ির কারখানায় কাজ করত।
আমার শালা বলল, আমি নিজে কাজ করব অন্য মাহাজনের কাজ করব না। আমার ছোট একটি গরুর ঘর ছিল তাতেই ঠিকঠাক করে জামদানি শাড়ি কারখানা শুরু করলাম”
শাড়ি বুননের কারিগর ইমন বলেন, আমি ২ সপ্তাহে ৩ টি শাড়ি তৈরি করতে পারি। ১ টি শাড়ির দাম ৫০০০ টাকা। ৬ টি শাড়ি ঢাকা পাঠালে ৩০ হাজার টাকা পাই।
একটি শাড়ি তৈরি করলে কর্মচারীদের মজুরি দেই এক হাজার টাকা। কারখানায় মোট ৬জন কর্মচারী কাজ করে, তাদের মাসে ৭ হাজার টাকা মজুরি দেই। সবকিছু মিলিয়ে মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। প্রয়োজনে আরো লোকদের প্রশিক্ষন দিয়ে কারিগর তৈরী করা হবে।
এছাড়া এলাকার বিত্তবানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। উৎপাদন ও পরিধি বাড়াতে প্রয়োজনে সরকারী সহায়তা দেয়া হবে।