• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পটুয়াখালীর ভুড়িয়া ইউনিয়নে মাদ্রাসা রেখে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সুপার বজলুল রহমান

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মার্চ ১৭, ২০২৪, ১৩:৪৭ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর ভুড়িয়া ইউনিয়নে মাদ্রাসা রেখে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সুপার বজলুল রহমান

স্টাফ রিপোর্টার : পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১৩নং ভুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। গত ১০ মার্চ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ার রহমান। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ এপ্রিল, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ ৯ এপ্রিল এবং ভোট ২৮ এপ্রিল। এই ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট হবে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী সদরে ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠ গোছানোর কাজে এবং প্রচার-প্রচারণায় পুরোদস্তুর কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। পটুয়াখালী সদরের ১৩নং ভুড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভুরিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা ও গনসংযোগ করছেন স্থানীয় পশ্চিম ভায়লা আলহাজ্ব এ.এম ডি.এস দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও ভুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মাও: বজলুল রহমান। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত শিক্ষক কোন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি প্রচার প্রচারাভিযানসহ ভোট প্রার্থনা আইনপরিপন্থী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৪(২) এর লঙ্ঘন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমপিওভূক্ত মাদ্রাসার সুপার ও ভুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মাও: বজলুল রহমান ভুরিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে গ্রামের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও গোটা ভুড়িয়া ইউনিয়নের সর্বত্র গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচালনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে ভুড়িয়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছেন ভায়লা আলহাজ্ব এ.এম ডি.এস দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও: বজলুল রহমান। কারা কারা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট হবে তারও একটি খসড়া তালিকা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন সুপার বজলুল রহমান। গত ১৫ মার্চ স্থানীয় ভায়লা বাজারে মোঃ রুবেল আহম্মেদের নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে আবারও রুবেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট ভিক্ষা করেন সুপার বজলুল রহমান। ঐ জনসভায় সুপার বজলুল রহমান বলেন, আমরা সবাই একজোট হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল আহম্মেদকে আবারও বিজয়ী করব। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আবারও মাঠে নেমে মোঃ রুবেল আহম্মেদকে নির্বাচিত করতে হবে। হাতে বেশি সময় নেই, আগামী ২৮ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই রুবেল ভাইকে আবারও বিজয়ী করতে এখন থেকেই পুরোদমে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হবে। মাদ্রাসার সুপার মাও: বজলুল রহমানের বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

তার সাফ কথা ভুরিয়া ইউনিয়নে প্রচার প্রচারনা হবে শুধু রুবেলের। অন্য কারও পক্ষে কেউ প্রচারনা চালাতে পারবে না। সূত্র নিশ্চিত করেছে পশ্চিম ভায়লা আলহাজ্ব এ.এম ডি.এস দাখিল মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপার মাও: বজলুল রহমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, সুপার মাও: বজলুল রহমান ভুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ায় তিনি সম সময় ক্ষমতার প্রভাব দেখান। নিজের ইচ্ছাতম মাদ্রাসায় আসেন। তার কারনে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তিনি প্রতিষ্ঠানটি লুটপাট করে খাচ্ছেন। সব সময় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

তার ক্ষমতার দম্ভে শিক্ষক-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ। বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রারাসায় নিয়মিত আসেন না সুপার। বর্তমানে তার ধ্যানেজ্ঞানে চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল আহম্মেদকে বিজয়ী করা। জানা গেছে, ভুরিয়ার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রভাবিত করছেন সুপার মাও: বজলুল রহমান। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে মোঃ রুবেল আহম্মেদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন সুপার। এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মুহা: মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান রেখে নির্বাচনী প্রচারনার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আকমল বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তাকে বারন করে দেয়া হবে। অভিযুক্ত মাও: বজলুল রহমান বলেন, কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাতে আমার আইনি বাধা নেই। আমি এলাকার বেডা তাই সবকিছু করতে পারি। সামনা সামনি আসেন চা খেতে খেতে বাকি কথা হবে।