সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী ॥ নিখোঁজের দেড় বছরেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা শিক্ষক। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের লোকজন মজিবুর রহমান (৫৪) নামের মির্জাগঞ্জ উপজেলার কপালভেড়া গ্রামের ওই শিক্ষককে অপহরন করেছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
মজিবুর রহমান মির্জাগঞ্জ উপজেলার কপালভেড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং স্থানীয় পিপড়াখালী ইসলামাবাদ দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। অপহৃতের মেয়ে ফাহিমা আক্তার কিছুদিন পূর্বে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করে বলেন আমার বাবা জীবিত আছেন না তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
ফাহিমা তার লিখিত বক্তব্যে জানান, জমি-জমা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে তার বাবা মজিবুর রহমানের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মজিবুর রহমান ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১০ টার দিকে মজিবুর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
এ নিয়ে তার বড় মেয়ে ফাহিমা আক্তার মির্জাগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার বাবাকে স্থানীয় পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের ইয়ার উদ্দিন ব্রিজের ওপর থেকে স্বপন মৃধাসহ প্রতিপক্ষের কয়েকজন লোক তাকে অপহরণ করে একটি মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফাহিমা আক্তার গত বছরের ২৪ মার্চ মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বপন মৃধাসহ ৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অদ্যবধি পুলিশ এ মামলায় কোন অগ্রগতি করতে পারেন। আমার বাবা জীবিত আছেন না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তা আমরা জানিনা। আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তবে এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত স্বপন মৃধা জানান, জমি-জমা নিয়ে আমার সাথে মজিবুর রহমানের বিরোধ আছে এবং এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। এ বিরোধের জের ধরে আমাদের নামে অপহরনের মামলা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মো. ইব্রাহিম জানান, বিষয়টি আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে তথ্য দিতে পারবো।