বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ ৩০ বছর ধরে পটুয়াখালীর নিউমার্কেটে সড়কের পাশে বিভিন্ন পদের শাক বিক্রি করেন বারেক হাওলাদার (৭০)। সাধারণত কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে খুচরা বিক্রি করেন তিনি। তবে গত কয়েক মাসে বিভিন্ন শাকের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এখন নিজেই বিক্রেতাদের কাছে দাম চাইতে গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে কথা হয় বারেক হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমানে প্রতি আঁটি লাউশাক ৬০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা ও কলমিশাক পাঁচ টাকায় বিক্রি করছেন। কৃষকদের কাছ থেকে যে দামে কেনেন তার চেয়ে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে পরিবহন খরচ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরও শাকের দাম এত বেশি ছিল না। অন্য সবজির দাম বেশি হলেও মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে শাক কিনে খেতে পারতেন। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। তবে সে অনুপাতে কলমি শাকের দাম বাড়েনি।
জহিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আগে মানুষ শাকসবজি খেয়ে কোনোরকম জীবনধারণ করতে পারতো। তবে এখন সেই পরিস্থিতিও নেই। এক আঁটি লাউশাক যদি ৬০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে মানুষ খাবেটা কী। একেবারে বাধ্য না হলে কেউ শাক-সবজিও কিনছেন না। সবার পিঠ এখন দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন কার্যালয়ের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে সবকিছুর দামই একটু বেশি। এরপরও যাতে কেউ অধিক মুনাফা করতে না পারেন সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।