• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নেহালগঞ্জ খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত ৫

admin
প্রকাশিত মে ১৪, ২০১৮, ১৮:৩৭ অপরাহ্ণ
নেহালগঞ্জ খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে  সংঘর্ষ  আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের নেহালগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকার খেয়াঘাট দখল নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যাক্ষর্দিশরা। এ ঘটনায় দুই গ্র“পের ৫ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সূত্রে জানা গেছে বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের অর্ন্তগত ২ এলাকার খেয়াঘাটের ইজারা দেয় দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদ। ইজারা দেয়ার পর থেকেই খেয়াঘাট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষ ছিলো দর্শকের ভূমিকায়। আর সেখানে একক আদিপত্য বিস্তার করে আছে সেই সদর উপজেলার ছাত্রলীগের বির্তকিত সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজন ও কথাকথিত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আকন। গত বেশ কিছু দিন পূর্বে একটি ছিনতাই মামলার আসামী পরে বন্দর থানার দস্যুতা মামলার ২ নং আসামী রাসেল আকন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে নানা অপরাধের জম্ম দিচ্ছে। আর এসব ঘটনা কিছুই জানে না বন্দর থানার পুলিশ। তবে অদৃশ্য ক্ষমতার অর্ন্তরালে অর্থের প্রভাব আছে বলে জানান এলাকার সাধারন মানুষ। গতকাল সেই খেয়াঘাট দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্র“পের সংঘর্ষে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পথচারী ছালাম। তিনি জানান আমি ও অরুন এক সাথে টুমচর যাচ্ছিলাম খেয়াঘাটে কি হয়েছে তা আমার জানা ছিলো না। আমি ট্রলারে উঠার সাথে সাথে রাসেল নামের এক ব্যক্তি আমার কাছে জানতে চায় আমার বাড়ি কোথায় আমি উত্তরে সাহেবেরহাট বলার সাথে সাথে তার হাতে থাকা একটি বড় দা দিয়ে আমাকে কোপ দেয়। এর পর আমার আর কিছু মনে নেই। আমি অজ্ঞান হয়ে পরে যাই। আমার জ্ঞান ফেরার পরে দেখি শেবাচিম হাসপাতালে এবং মাথায় ব্যন্ডিস করা। স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শিরা জানায়, আমরা রাসেল আকনের আতংকে ভয়ে থাকি, রাসেল আকনের স্বজন পুলিশে চাকুরী করনে তাই রাসেল সব ধরনের অপকর্ম করেন নির্বীধায় এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। কারণ আমরা অসহায় মানুষ। কোন কথা না বললেও চরথাপ্পর ক্ষেতে হয়। রাসেলের শেল্টার দাতা সুজন ও রাসেল মিলে রেনু পোনার স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বন্দর থানা এলাকাকে। এঘটনায় আহতরা হলেন, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশারদ গ্রামের আফতার খানের ছেলে মোঃ ছালাম খান(মহুরী), একই ইউনিয়নের পতাং গ্রামের মালেক হাওলাদারের পুত্র সুরুজ। বিষয়টি নিয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে সেল ফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমার এঘটনা জানা নেই। আর কেউ এসে অভিযোগ করে নি। দস্যুতা মামলার ২ নং আসামী এলাকায় থেকে প্রকাশ্যে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন এমন কোন সুযোগ নেই পুলিশ আসামীকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু পাচ্ছে না