• ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

প্রসঙ্গ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও মামলা

নিরব হোসেন টুটুলকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিলেন কাউন্সিলর কালাম মোল্লা

admin
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০১৯, ১৬:০৮ অপরাহ্ণ
নিরব হোসেন টুটুলকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিলেন কাউন্সিলর কালাম মোল্লা

বিডি ডেস্ক ॥
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র বরারব একটি অভিযোগ পত্র তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেছেন।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযোগ পত্রটি আপলোডের প্রায় ৩ ঘন্টা পরে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি।

ভিডিওটিতে দেখা যায় প্রথমে তিনি মেয়র বরাবর প্রেরিত অভিযোগ পত্রটি পড়েন এবং মেয়রের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখেন। যেখানে মেয়রকেও তিনি এ ঘটনায় অভিযুক্ত করেন এবং নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য দাবি করেন।

ভিডিওটিতে তিনি যা যা বলেছেন তার কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো- মেয়র মহোদয় কি অন্যায় করেছি আমি, আমি মাসুদ রানার গায়ে কোন হাত দেইনি, শুধু একটু তর্কই হয়েছে। আপনিতো নিজেও এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন এবং আমাকে গাল মন্দ আপনি নিজে দিতে পারতেন। কেন আপনার কর্মচারি দিয়ে আমাকে একজন কাউন্সিলরকে অপমানিত, লাঞ্ছিত করালেন। তারা আপনার কাছে মিথ্যা বলে আমার ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করিয়েছে। আমার ভাবতে অবাক লাগে মেয়র মহোদয়, আপনি এত নিষ্ঠুর হলেন কিভাবে মেয়র মহোদয়। আপনি সরেজমিনে আসেন তদন্ত করে দেখেন যে আমি অন্যায় করেছি না করিনাই।

ভিডিওটিতে তিনি ধর্মের কছম দিয়ে বলেন- আমি তাদের গায়ে হাত দেই নি। কেন আমাকে এত বড় ক্ষতি করলেন মেয়র মহোদয়।

ভিডিওটিতে তিনি আরও বলেন টুটুলের নির্দেশে তার নামে মামলা হয়। যেই টুটুল ফেনসি সবেদের (ফেনসিডিল ব্যবসায়ী) সাথে থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে কর্মীদের হেনস্থা করছে। আমার শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে (পোর্ট রোডের বশির নামে) এই টুটুল। কউনিয়া শাখা শ্রমিকদের হুমকি দিয়েছে পুলিশ দিয়ে ধরাবে, বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে এই টুটুল । কি টুটুলকে আপনি কতবড় পওয়ার দিয়েছেন মেয়র মহোদয়। বলেন আপনি বলে দেন আমি আর প্রয়োজনে আপনার পরিষদে আসবোনা।

ভিডিওটিতে তিনি তার এলাকায় মেয়রের সুনাম বাড়িছে বলেও দাবি করেন। তার এলাকা থেকে জুয়াখোর ইভটিজিং মাদক তাড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন আমার ভাবতে অবাক লাগে মেয়র মহোদয়। আমি কি অন্যায় করেছি মেয়র মহোদয়, আপনি নিজ হাতে আমাকে শাস্তি দিতেন, কেন আপনি না জেনে না শুনে না তদন্তকরে আমার স্থাপনা ভেঙে দিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। তাতে কি আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি। আমি কি আওয়ামী লীগের লোক না? আপনি নিজে সরজমিনে আসেন, আইসা দেখেন, দেইখা এটার বিচার করেন।

সর্বশেষ তিনি মেয়রের উদ্দেশ্যে বলেন- ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন আসসালামু আলাইকুম।