• ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নলছিটিতে বাসস্থলে হামলা চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ডাকাতি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ১৯:২০ অপরাহ্ণ
নলছিটিতে বাসস্থলে হামলা চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ডাকাতি
বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে শেখ পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাসস্থানে ডাকাতি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২নং মগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খাওখীর গ্রামের শেখ পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ৩টি বসতবাড়ি ঘর, একটি আলফা গাড়ি ভাঙচুর, নগদ ৩ লক্ষ টাকার স্বর্ণের অলংকার, জমি বিক্রির নগদ তিনলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের একদিন দল। এতে বাসস্থলের গুরুতর আহত ইব্রাহীম শেখ (২৬), রুনা বেগম (৪০), উজ্জ্বল শেখ (৪২), ( শেরে-বাংলা মেডিকেল হাসপাতাল ভর্তি) জামাল শেখ (৫৬), রুনা বেগম (৪০), ইব্রাহীম বেপারি (৪৫), ফয়সাল শেখ (২৭) তারা জানান, পরিকল্পিত যোগসাজশে যেকোনো মাধ্যমে স্বর্ণসহ নগদ টাকার খবর পেয়েই দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় চিহ্নিত আলোচিত এই কিশোর গ্যাংয়ের দলটি। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলেন, একই এলাকার ফজলু খানের ছেলে সেহযান খান(১৮), মনির হোসেনের ছেলে নাসিম(১৭), রাফি(১৭), নিরব(১৬), শামীম (১৭), হ্রদয় (১৬), সালমান(১৭), খলিল(১৬), সাব্বির (১৬), মিরাজ (১৭) সহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিশর্দন ভাঙচুরের আলামত দেখে চলে যায়। এদিকে কিশোর গ্যাংয়ের আতঙ্কে নিজ বাসস্থলে অনিরাপদে আশঙ্কায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা এবং এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আমরা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তাদের ভয়ে সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হতে পারিনা। কিশোরীরা যৌন হয়রানির শিকার হোন। ইউনিয়ন মেম্বার ফজলু খানকে জানালে তিনিও হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘হামলাও হবে মামলাও হবে’। ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকাবাসী এই ঘটনার অতিদ্রুত সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।
ইউপি সদস্য ফজলু খান ঘটানার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি সাথে করে পুলিশ নিয়ে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করি। তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে আমি কিশোর গ্যাংয়ের সাথে আমার সম্পৃক্ত নেই। একটি কুচক্রী মহল আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ আলী বলেন, হামলার বিষয়টি নিয়ে এখনো মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। কাউকে আটক বা মালামাল জব্দ করতে পারিনি। আইন নুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন জানান, আমি শুনেছি, হামলার ঘটনাটি সত্য। ইউপি মেম্বার ফজলু জড়িত কিনা সেটা জানিনা, তবে ওখানে উনি ছিলো। পুলিশকেও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বলছি। ইউপি সদস্য জড়িত থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।