• ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নদীতে মিলল ট্রলারমালিকের অর্ধগলিত লাশ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ২২:৩৫ অপরাহ্ণ
নদীতে মিলল ট্রলারমালিকের অর্ধগলিত লাশ

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ ট্রলারমালিককে কুপিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার পাঁচ দিন পরে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর তীর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় স্থানীয় একজন গোখাদ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলার নীলিমা পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে লাশটি দেখতে পায়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানালে নদীর তীর হতে রাশেদের লাশটি পাথরঘাটা পুলিশ উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া ট্রলার মালিকের নাম রাশেদ খান (৩০)। তিনি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমোন্তাজ গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে।

জানা গেছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি গোখাদ্য সংগ্রহের জন্য নীলিমা পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকের বিষখালী নদীতে গেলে লাশটি দেখতে পান। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানালে সেখান থেকে পাথরঘাটা থানায় অবহিত করেন। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো: সাইফুজ্জামান বলেন, জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ থেকে পাথরঘাটা থানায় জানালে পাথরঘাটা থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষ হয়েছে ময়নতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার সাগরে ট্রলার ডাকাতির ঘটনায় রাশেদ খান নিখোঁজ আছে এই সেই লোক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা এলে বলা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ২০ লাখ টাকার মাছ নিয়ে ‘এফবি মা-বাবার দোয়া’ নামের একটি ট্রলার গলাচিপার হরিদেবপুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে ট্রলারটির কর্মচারী ইব্রাহীম অতর্কিতভাবে হামলা করেন ট্রলার মাঝি জামাল মোল্লা ও মালিক রাশেদের ওপর। এতে ওই ট্রলারের মাঝিকে হত্যার জন্য আঘাত করলে তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করেন। আর মালিক রাশেদ খানকে কুপিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ট্রলারটির কর্মচারী ইব্রাহীম জড়িত রয়েছে বলে জানায় রাশেদের ভাই তুহিন। নৃশংস এই হত্যার পরে ট্রলারের মাছগুলো পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়রা ইব্রাহীমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেন মৃত রাশেদের ভাই আল-আমিন। এরপরে ইব্রাহীমকে গ্রেফতার দেখানো হয়।