• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ট্রাফিকের ঢিলেঢালা ডিউটি

নগরীর চারটি স্পটে প্রতিদিন অসহনীয় যানজট

admin
প্রকাশিত মে ২১, ২০১৯, ১৭:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর চারটি স্পটে প্রতিদিন অসহনীয় যানজট ঈদ কেনাকাটার আনন্দ অস্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। নগর ট্রাফিকের ঢিলেঢালা ডিউটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। কাকলীর মোড়, বটতলা, সদররোড ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনের মোড়, ফলপট্টি মোড়, কাঠের পোল চৌমাথা মোড়, হোটেল এরিনার সামনের মোড়, নতুন বাজার মোড়, গোঁড়াচাদ দাস সড়কে শষি মিষ্টির সামনে, জেলখানার মোড়সহ স্পটগুলোতে প্রতিদিন তীব্র যানজট তৈরী হয়। ডিউটি এলাকার দোকান, অফিস, শোরুমগুলোতে বিশ্রামরত সময় পার করার চালচিত্র রয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যবসায়ী বলেন সড়কে যানজট থাকলে দোকানে ক্রেতা আসতে পারেনা। আমরা দেখি যানজট লেগেছে কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মধ্যে অথবা কোন না কোন দোকানে বসে এসির বাতাস ভোগ করছে। যখন তাদের কোন বস আসে তখন আবার রাস্তায় গিয়ে দাড়ায়। এসময় ভুক্তভোগীসুত্র আরে জানায়, আমাদের এ কথার বাস্তবতা রয়েছে কিনা তা তো সড়কগুলোর দুপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই হয়। এতে বের হয়ে যাবে কতটুকু সময় ট্রাফিক পুলিশ সড়কে ডিউটিরত থাকে আর কতটুকু সময় ফাঁকি দেয়। এব্যাপারে নগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো: ফাইজুর রহমান বলেন, ঈদ সামনে রেখে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি বিশেষ টিম রয়েছে যারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে এবং যেখানে যানজট থাকবে চলতি ডিউটিতে যে থাকবে তার সাথে যোগ দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। আর অস্থায়ী লেন উঠানোর কারনে যানবাহনগুলো অধিকাংশ সময়ই শৃৃঙ্খলাবদ্ধ থাকেনা এবং বিশেষ করে থ্রি হুইলার ও মটরসাইকেলগুলো। যেখানে লেন পরিবর্তন কিংবা ঘুড়তে পারবেনা সেখানে ঘুড়িযে দেয় এতে যানজট তৈরী হয়। আর অস্থায়ী লেন থাকলে এসমস্যাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতো। তবে অস্থায়ী লেনটি আরো পাকাপোক্ত করে দেয়ার জন্য ভালোভাবে তৈরী করা হচ্ছে যেকারণে লেন উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু স্পটে ট্রাফিক পুলিশের ডিউটিতে ফাঁকিবাজির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আপানাদের এ পরামর্শটা গুরুত্বের সাথে দেখা হবে এবং আপনারাও আমাদের নাম্বারে জানাতে পারবেন এধরণের চালচিত্র দেখা গেলে। সরেজমিন সুত্রে, নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, লঞ্চঘাটসহ যাত্রীবহুল সড়ক ও নৌ টার্মিনাল থেকে দৈণিক দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৬টি থেকে বিভিন্ন বয়সী ও ধরনের ক্রেতা-বিক্রেতা আসা-যাওয়া করে। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমের এক থেকে দেড় মাস ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচল কয়েকগুন বেড়ে যায়। নগরীর চকবাজার গীজা মহল্লা কাটপট্টি, ফজলুল হক এভেনিউ, কালেক্ট্রির পার, মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেটসহ বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে ঈদের দিন ভোর রাত পর্যন্ত। শুধু তাই নয় রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক বিভাগ ও জেলা থেকে ঘরমুখো মানুষ লঞ্চ ও সড়ক পথে ২৪ ঘন্টাই লোকজন আসতে থাকে নিজস্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। একসময় ঈদের কেনাকাটা করতে এসে যানজটের কবলে পরে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস তৈরী হয় ক্রেতাদের। এনিয়ে ক্রেতা মামুন হোসেন বলেন, আমি বানাড়ীপাড়া থেকে এসে পরিবারের কেনাকাটার জন্য চকবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। নথুল্লাবাদ থেকে নতুনবাজার এসে মোড়ে যানজটে গেলো প্রায় ৩০মিনিট। এরপর জেলখানার মোড় পর্যন্ত যেতে ‘ল’ কলেজ থেকে গাড়ির সিরিয়ালে পরতে হয়েছে। পরবর্তীতে জেলখানার মোড় পার হয়ে লাইন রোডের সম্মুখে গিয়ে কালি বাড়ি রোড মোড়ে আবার যানজট পার হয়ে ডাচ বাংলা মোড় পর্যন্ত গাড়িতেই আটকে থাকতে হয়েছে অনেকক্ষন। এচিত্র নগরীর প্রতিটি স্পটে রয়েছে বলে তিনি জানান।