রুপন কর অজিত: বরিশাল নগরীতে যানজট এখন অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময়গুলোতে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের বারবার আশ্বাস ও নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি তেমন চোখে পড়ছে না। বরং অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের অব্যবস্থাপনা ও যেখানে-সেখানে পার্কিংয়ের কারণে সড়কের বড় অংশ দখল হয়ে যানজট আরো তীব্র আকার ধারণ করছে।
নগরীর কাকলীর মোড়, গীর্জামহল্লার মোড়, জেলখানার মোড়, নতুনবাজার মোড়, নথুল্লাবাদ, হাতেমআলী চৌমাথা, পোর্টরোড, বটতলা, লঞ্চঘাট, সাগরদী ব্রিজ এবং রুপাতলীতে যানজটের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। মূলত অটোবাইক, রিকশা ও বাসের অনিয়মিত পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, এবং সড়কের অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই যানজটের প্রধান কারণ।
ট্রাফিক পুলিশদের অভিযোগ, বারবার সতর্ক করার পরও চালকরা নিয়ম মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গীর্জামহল্লার এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, “চালকদের বারবার পার্কিং নিষিদ্ধ স্থানে গাড়ি না রাখার অনুরোধ করলেও তারা তা মানছে না। এর ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়ছে।”
বরিশাল মহানগরীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার, ইজিবাইক দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব অবৈধ যানবাহন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশাল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সড়কে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও আইনের কার্যকর প্রয়োগে ঘাটতি এবং সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম এই সমস্যাকে জটিল করে তুলছে।এছাড়া, নগরীর নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস টার্মিনালের অব্যবস্থাপনা এবং রাস্তার পাশে বড় বাসগুলো পার্কিং করায় সড়কে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এবং যানজট নিরসনে ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করছেন স