স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেখতে ভেড়ার মতো তবে আকারে কিছুটা বড় ও উঁচু। আবার প্রথম দেখায় মরু অঞ্চলের দুম্বার মতো মনে হয়। তবে পিছনের দিকে দুম্বার মতো বাড়তি মাংস নেই। প্রাণীটির নাম গাড়ল। আমাদের দেশে খুব পরিচিত না হওয়ায় এদের চিনতে ভুল করে মানুষ।
গাবতলী পশুর হাটে গরু ছাগলের পাশাপাশি বর্তমানে দেশীয়ভাবে পালন করা গাড়লের চাহিদা ভালোই। মূলত অবস্থাসম্পন্ন সৌখিন মানুষই গাড়ল কোরবানি দেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) গাবতলীর পশুর হাটে গাড়ল প্রতিপালক ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাড়ল মূলত মরু অঞ্চলের উন্নত জাতের ভেড়ার একটি প্রজাতি। বর্তমানে মেহেরপুর, রাজশাহী, গাজীপুরসহ দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে গাড়ল পালন করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জিনাত সুলতানা গাড়ল প্রসঙ্গে বলেন, গাড়লের মাংস পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। অন্য মাংসের তুলনায় গাড়লের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় সবাই এ মাংস খেতে পারেন। এছাড়া মাংস ভালোই সুস্বাদু।
গাবতলীর পশুরহাটের গাড়ল পালক ও বিক্রেতা মো. শিবলু বলেন, একটি বড় গাড়লের এক থেকে দেড় মণ মাংস হয়। মাংস খেতেও সুস্বাদু। দেড় মণ ওজনের একটি গাড়লের দাম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।