• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এমভি জামাল-৫ লঞ্চের খাদ্য ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালি

দশ টাকার আলু ভর্তা ৫০ টাকা!

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৯, ২০১৯, ২২:৩৬ অপরাহ্ণ
দশ টাকার আলু ভর্তা ৫০ টাকা!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমভি জামাল-৫ লঞ্চটি চরে আটকা পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে অন্তত ৫ শতাধিক যাত্রী।

রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে লঞ্চটি আটকা পরলেও সোমবার বিকাল ৪টার দিকে যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করে বরিশাল-পাতারহাট রুটের ছোট একটি একতলা লঞ্চ।

এদিকে লঞ্চটি চরে আটকা পড়ার পর লঞ্চে দেখা দেয় খাদ্য সংকটে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে পানিসহ অন্যান্য খাদ্য সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধরা।

অন্যদিকে ওই লঞ্চের খাদ্য ব্যবসায়ীরা যাত্রীদের জিম্মি করে চড়া দামে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করেন। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চের খাদ্য ব্যবসায়ীরা ১০টার আলু ভর্তা ৫০ টাকা, ১৫ টাকার হাফ লিটার পানি ৬০ টাকা, এক প্লেট ২০ টাকার ভাত ৬০ টাকা, মাছ প্রকারভেদে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা, মুরগী ১২০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা যাত্রীদের কাজ থেকে আদায় করছেন। তারপরও খাদ্য সামগ্রী ছিল অপ্রতুল্য। অনেক যাত্রীরা খেতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পরেন। ওই লঞ্চে থাকা জনতা দুমকী কলেজের প্রভাষক মো. মাসুদুর রহমান ও দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ মাহাবুদ্দিন মুন্সি বলেন, লঞ্চে মুল মাস্টারের পরিবর্ততে লঞ্চটি হেলপার দিয়ে চালানো হয়েছে। যার ফলে রোববার রাত ১টায় লঞ্চটি চরে আটকা পড়ে পরদিন সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত একই অবস্থায় থাকে। লঞ্চটি চরে উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।

তারা বলেন, এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পরেন। পানি ও ভাতসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সংকট এবং অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় অনেক যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেশিরভাগ যাত্রীরাই সারা দিনে কিছুই খেতে পারেননি।