• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তালতলীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৪

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০২৫, ১৮:৪৩ অপরাহ্ণ
তালতলীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৪

আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের সদর রোডে ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মানু (৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির (৩৫), রহিম (৪০), রুবেল (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আ. হাই (৫০), সাইদুল (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫) ও মিজান (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, দুইটি পক্ষের একটি নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক। অপর পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শুরু করেন।

একই সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ নেতৃত্বে একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ান। পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নৌ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‍‍“আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চারজন গুরুতর আহত থাকায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, “উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও একজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করি।

তিনি বলেন, “কর্মসূচি চলাকালে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা হয়। এতে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হন। এবিষয়ে মো. শহিদুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌ বাহিনীর সহায়তায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।