• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তালতলীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ প্রেকৌশলীর বিরেুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ১৯:২২ অপরাহ্ণ
তালতলীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ প্রেকৌশলীর বিরেুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা ঝাড়ু মিছিল করে কাজ বন্ধ করে দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তালতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত ১১০০ মিটার দের্ঘ্য এবং ১২ ফিট প্রস্তের সড়ক নির্মাণে জন্য ২৪ সালের নভেম্বও মাসেন দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় বরগুনা।

দরপত্রে অংশগ্রহন করে সর্ব নি¤œ দরে কাজটি পান মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. এনামুল। কাজের ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

কার্যাদেশ পাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি -২৫ সালে কাজটি শুরু করেন ঠিকাদার। জানা গেছে, মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া সড়কের নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তালতলী উপজেলা এলজিইডির কার্যালয়।

নির্মান কাজের শুরু থেকেই স্থানীয়রা কাজটিতে নি¤œমানের ইট ব্যবহার কওে আসছেন। ঠিকাদারের অনিয়মের বিষয়টি তালতলী উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাদেও অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শুরুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে নিম্মমানের ইট এবং খোয়া দিয়ে কাজ করার সময় ঝাড়– মিছিল বেড় করেন এবং কাজ বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার হামিদ, রাসেল মৃধা, আলমাস খলিফা, জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, সড়কে নি¤œ মানের খারাপ তিন নম্বর ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করছিল। ইটের মান এতই খারাপ যে হাতের চাপে ভেঙ্গে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

তাঁরা আরও বলেন, ওই প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে রাস্তার কাজ করছিল। অভিযুক্ত ঠিকাদার এনামুল হক বলেন, নির্দিষ্ট সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি।

এখানে খারাপ ইট দিয়ে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সামান্য কিছু ইট খারাপ ছিলো।

সেগুলো বাছাই করে আলাদা রাখা হয়েছে এবং সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঠিকাদারকে বৃহস্পতিবার সকালে খারাপ ইট ব্যবহারের জন্য কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেও নিকট থেকে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

ইটের মান খারাপ হলে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে ভালো ইট এনে কাজ কারার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হছে।