বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় যুবদলের কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত যুবদলের কর্মী মো. মোশারফকে (২৬) বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগমকেও (২০) মারধর করে গুরুতর আহত করেন হামলাকারীরা।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত মোশারফ অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপির মিছিলে যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শরীফ হাওলাদার, অলি হাওলাদার, ফারুক, কাঞ্চন, সাদু, রিফাত ও জান্টু তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। বিএনপির দুর্দিনে ঢাকায় আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি অংশ নেন বলেও জানান মোশারফ।
মোশারফ বলেন, আমার স্ত্রীকে শুক্রবার রাতে ভোলা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আজ রাত ১০টার দিকে চোখের অপারেশন হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি ও জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন মোশারফ।
জানতে চাইলে চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোশারফের সঙ্গে কাঞ্চনের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। আমি ঘটনা জানার পর মোশারফকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, আমার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা সত্য নয়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, মূলত জমি নিয়ে বিরোধে মোশারফের সঙ্গে কাঞ্চনের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়ের লোকজন আহত হয়। তবে এর মধ্যে মোশারফের স্ত্রী চোখে বেশি আঘাত পেয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে কাঞ্চনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। মোশারফের পক্ষ থেকেও অভিযোগ দিতে বলেছি। উভয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।