তজুমদ্দিন প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিনে এক গৃহবধুর লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। তবে নিহত গৃহবধুর পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করেছে স্বামীর পরিবারের লোকজন।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চরলাদেন এলাকার মোঃ হাফিজুল্যাহর ছেলে শহীদুল ইসলাম শাহীন (২৮) চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভূইয়ারহাট গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে তানজিলার (১৬) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে আড়াই বছর আগে শাহীন তানজিলাকে ঘর থেকে রাতের আধারে বের করে নিয়ে এসে তার সাথে ঘর সংসার শুরু করে। প্রায় ৭মাস আগে তানজিলা তার প্রেমিক শাহীনকে নিয়ে বাবার বাড়ি গেলে নিহতের পরিবারের লোকজন বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাইলে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি শাহীন।
এক পর্যায়ে শহীন তানজিলাদের বাড়ি থেকে রাতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। পরে মেয়ের পরিবার শাহীনকে নতুন করে কাবিন করতে চাপ দিলে সে তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এরপরে শাহীন পুনরায় তানজিলার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে গত রমযানের ঈদের দুদিন পরে আবারও তানজিলাকে বের করে নিয়ে আসে।
গতকাল (৩০ জুন) সকালে চরলাদেনে শাহীনের বসত ঘর থেকে তানজিলার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন বিকাল ৩টায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ তজুমদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা নং ১৮ তারিখ ০১/০৭/২০২৪। তবে মেয়ের পরিবারের দাবী তানজিলার স্বামী ও তার মাসহ অন্যরা মিলে তাকে নির্যাতন হত্যা করে।
এখন সেটিকে আতœহত্যা বলে প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এঘটনায় নিহতের পরিবার আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানা এই প্রতিবেদককে।
জানতে চাইলে নিহত তানজিলার চাচা মোঃ হারুন বলেন, আমার ভাতিজিকে তার স্বামী ও মাসহ পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করে।
লাশের দাফন শেষে আইনী ব্যবস্থা নিবো। জানাতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, নিহতের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
লাশের ময়না তদন্তের জন্য ভোলা প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।