*নিষেধাজ্ঞা গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত
*নদীতে ডেঞ্জার জোন ঘোষণা
*ফোনে কিংবা দপ্তরে পাওয়া যায়না সমুদ্রপরিবহন দপ্তরের কর্তাদের
*পণ্যবাহী সহস্রাধিক জাহাজ ও দৈনিক ত্রিশটি যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করে
*একযোগে কাজ করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোস্টগার্ডসহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কালবৈশাখী মৌসুমে সুরক্ষারজনিত চলাচল নিশ্চিত করতে নৌযানগুলোর জন্য চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যাত্রীবহুল বরিশাল আধুনিক নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ। উপকূলের ডেঞ্জার জোনে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এলক্ষ্যে বরিশালের কয়েকটি উপজেলার নদীতে ডেঞ্জার জোন ঘোষণা করা হয়ছে। এরমধ্যে রয়েছে চর-আলেকজান্ডার-দৌলতখান, চর-আলেকজান্ডার-মির্জাকালু, চর-আলেকজান্ডার-আসলামপুর, মনপুরা (হাজিরহাট)-তজুমুদ্দিন, চর জহির উদ্দিন-শশীভূষণ, মজু চৌধুরী-ইলিশা নৌ রুট। আর এ বিষয়টি ইতিমধ্যে ২৮টি নৌযানকে পত্র দিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে নৌবন্দর সুত্রে জানা গেছে। শুধু তাই নয় এ ঝড়ো মৌসুমে সি-সার্ভে এবং বে-ক্রুজিং সনদ ব্যতীত সব নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। বিপদসংকুল এ নৌপথে নৌযান চলাচল না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোষ্টগার্ডসহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এনিয়ে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, ‘বর্তমান মৌসুমের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বর্তমানে আবহাওয়ার পরিবর্তিত প্রভাবে এ মুহূর্তে উপকূলীয় এলাকা অশান্ত নয়। অথচ বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা না বলেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর নগরীর বিআইডিব্লিইটি’র কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু বলেন, নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সমুদ্র পরিবহন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করে। অপরদিকে এবিষয়ে বরিশাল সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর সরাসরি দেখভাল করে। এনিয়ে জানতে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরে একাধিকবার গিয়েও কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। অফিস তালা দেয়া থাকে। সকাল কিংবা বিকেল পাঁচটার আগে গিয়েও পাওয়া যায়না। এমনকি দপ্তরটির প্রকৌশলী হেলাল এর ০১৭১১৩৬০৪২৯ নাম্বারে বারংবার ফোন করলেও রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে কল ব্যাকও করেনি। এবিষয়ে সুত্রে জানা গেছে, তিনি তার মোবাইলে সংরক্ষিত নাম্বার ছাড়া রিসিভ করেননা। কিন্তু তাকে বরিশাল দপ্তরে গিয়েও পাওয়া যায়না, আবার ফোনেও পাওয়া যায়না। তাহলে দুর্যোগপুর্ণ এ মৌসুমে সতর্কতামুলক সরকারি তথ্য মানুষের মধ্যে কিভাবে জানানো হবে এর সদুত্তর খুজতে গিয়ে নৌবন্দরে একাধিক কর্তাব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে জানান, ভাই কি বলবো ওটাতো আমাদের দপ্তর নয়। উল্লেখ্য ঢাকা-বরিশাল নৌরুট সহ বরিশালের আন্ত ১৭টি রুটে একতলা-দোতলাসহ দৈণিক প্রায় ত্রিশটি লঞ্চ চলাচল করে। ভোলা, মেহেন্দিগঞ্জ, বরগুনা, পিরোজপুর, লক্ষীপুর, মনপুরাসহ রুটগুলোতে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লক্ষ্য যাত্রী আসা-যাওয়া করে। শুধু তাই নয় খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল চ্যানেল থেকে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ছোট-বড় ও মাঝাড়ি ধরণের জাহাজ চলাচল করে বলে সুত্রে জানা গেছে।