অনলাইন ডেস্ক : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজারে পৌঁছাল। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাড়ে সাত হাজার রোগী ভর্তি আছেন। ঈদের ছুটির কয়েকদিন আগে থেকে গ্রামে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সেই বৃদ্ধির হার অব্যাহত রয়েছে। গতকালও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেসরকারি হিসাবে ১৩১ জনে দাঁড়াল। তবে সরকারিভাবে স্বীকার করা হচ্ছে ৪০ জনের কথা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সারাদেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে এক হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৯ জন এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৯৬০ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ হাজার ২৪৩ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও সাত হাজার ৭১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নে কায়ছার নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কায়ছার চাতলপাড় কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জহিরুল আলম ভূঁইয়া বাবু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাস্তানগর গ্রামে।
ঢাকা বিভাগ : ঢাকা জেলায় ৭৪ জন, গাজীপুরে ৩৮, মুন্সীগঞ্জে ২৫, কিশোরগঞ্জে ১৩০, নারায়ণগঞ্জে ৩৪, গোপালগঞ্জে ৩২, মাদারীপুরে ৭০, মানিকগঞ্জে ১০৩, নরসিংদীতে ৫৪, রাজবাড়ীতে ৩৫, শরীয়তপুরে ৫৭, টাঙ্গাইলে ৬৭, ফরিদপুরে ৪৩ জনসহ মোট ৭৬২ রোগী ভর্তি আছেন। এ বিভাগে চার হাজার ৭১০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৯৪৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ :চট্টগ্রাম জেলায় ১৬৪ জন, ফেনীতে ৮৩, কুমিল্লায় ১৪২, চাঁদপুরে ১১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫, নোয়াখালীতে ৯১, কক্সবাজারে ৪০, লক্ষ্মীপুরে ৫৪, খাগড়াছড়িতে ২০, রাঙামাটিতে ১২ এবং বান্দরবানে ৫ জনসহ মোট ৭৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বিভাগে মোট তিন হাজার ৬২৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৮৪৬ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
খুলনা বিভাগ :খুলনা জেলায় ২০৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৫৪, মাগুরায় ৩৪, নড়াইলে ৩৪, যশোরে ১৬৮, ঝিনাইদহে ৩২, বাগেরহাটে ১২, সাতক্ষীরায় ৪৩, চুয়াডাঙ্গায় ৬, মেহেরপুরে ১৯ জনসহ মোট ৬০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বিভাগে দুই হাজার ৭০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে দুই হাজার ১০৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
রাজশাহী বিভাগ :রাজশাহী জেলায় ৮২ জন, বগুড়ায় ১৩০, পাবনায় ৬৭, সিরাজগঞ্জে ৭০, নওগাঁয় ২৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৪, নাটোরে ১২, জয়পুরহাটে চারজনসহ মোট ৪২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে দুই হাজার ৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬৬৮ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
রংপুর বিভাগ :রংপুর জেলায় ১১৭ জন, লালমনিরহাটে ১৪, কুড়িগ্রামে ১৪, গাইবান্ধায় ১০, নীলফামারীতে ১৩, দিনাজপুরে ৬২, পঞ্চগড়ে ৬, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩ জনসহ মোট ২৫৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে এক হাজার ২৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৯৮৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
বরিশাল বিভাগ :বরিশাল জেলায় ২৯৩ জন, পটুয়াখালীতে ১২৮, ভোলায় ৩৭, পিরোজপুরে ৪৪, ঝালকাঠিতে ১১, বরগুনায় ৩৩ জনসহ মোট ৫৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে দুই হাজার ২৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৭৪৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
সিলেট বিভাগ :সিলেট জেলায় ৬০ জন, সুনামগঞ্জে ২, হবিগঞ্জে ৬, মৌলভীবাজারে ১৩ জনসহ মোট ৮১ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিভাগে ৫৭২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৯১ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ :ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ২০৭ জন, জামালপুরে ৪৭, শেরপুরে ২৩, নেত্রকোনায় ৭ জনসহ মোট ২৮৪ জন ভর্তি আছেন। এ বিভাগে এক হাজার ৩৬২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৭৮ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
