বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওটি সাগর নন্দিনী-২ ইঞ্জিনরুমে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতার সময় আহত হন ট্রলারচালক শিপন মাঝি (১৭)।
গত ১ জুলাই দুপুরে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় জ্বালানি তেল নিয়ে ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ প্রথম বিস্ফোরণ হলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ট্রলার নিয়ে সহযোগিতা করতে গেলে আহত হন শিপন।আহত হাওয়ার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও তার কেউ খোঁজ নেননি এমন অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আহত শিপন মাঝি পৌর শহরের লঞ্চঘাট কলাবাগান এলাকার মোঃ বাহারুল মাঝির ছেলে।
শিপনের বাবা বাহারুল মাঝি বলেন, আমার ছেলে ট্রলার নিয়ে সহোযোগিতা করতে গেলে আহত হয়ে বুক ও হাত আগুনে জ্বলসে গেছে। তারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে এনেছি।এতদিন হয়েছে আহত হয়েছে কেউ সহযোগিতা তো দূরের কথা কোন খোঁজ খবর নেয়নি।আমার ছেলের যা চিকিৎসা খরচ তা আমি নিজেই বহন করতে আছি।
শিপনের মা মিনারা বেগম বলেন,আমার ছেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে ট্রলার নিয়ে সহযোগিতা করতে গেলে আহত হয়। আল্লাহ আমার ছেলেকে অনেক বড় ধরনের দুঘটনা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. রুহুল আমিন বলেন,শিপন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছে ।তার চিকিৎসার জন্য কিছু প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত পহেলা জুলাই সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় জ্বালানি তেল নিয়ে ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২-এ বিস্ফোরণ হলে চারজন মারা যান। মাত্র দুদিন পর ওই একই ট্যাংকারে দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণে রাতভর জ্বলতে থাকে চার লাখ লিটার পেট্রোল। এতে দগ্ধ হয়ে পুলিশসহ আহত হন ১৫ জন।