• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১৮:১৬ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে হাসি

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ ঝালকাঠির সবুজ মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদের চাদরে ঢাকা পড়েছে। যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই বাতাসে হলুদের দোল খাওয়ার দৃশ্যে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। অল্প শ্রম আর স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে ঝালকাঠিতে। অনুকূল আবহাওয়া এবং সঠিক পরিচর্যায় সরিষার ফলনও ভালো হয়েছে। অল্প সময়ে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।

এছাড়া মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত ভীড় জমাচ্ছেন সরিষার ক্ষেতগুলোতে। ঝালকাঠিতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ। সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের আভা ফুটে উঠেছে। ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে।

মাঠে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জেলায় এবছর এক হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ হেক্টর বেশি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ফলে এ বছর জেলায় সরিষার চাষ বেড়েছে। এর মধ্যে বারি-১৪ এবং বারি-১৮ জাতের সরিষার ফলন সবচেয়ে ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং সঠিক পরিচর্যায় অল্প সময়ে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

হলুদের চাদর বিছানো সরিষার মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত ভীড় জমাচ্ছেন সরিষার ক্ষেতগুলোতে। সরিষা ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার পাশাপাশি ছবি তোলায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সরিষা ক্ষেত দেখতে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ এবং সার সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ মন বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন কৃষকরা। ফলে এ বছর জেলায় সরিষার চাষ বেড়েছে। মাঠে যেভাবে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে হেক্টরপ্রতি ১.৩ মেট্রিকটন ফলন আসবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ মেট্রিকটন তেল ফসল উৎপাদন করা। যা মোট চাহিদার ৪০ ভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঝালকাঠির কৃষকরা ইতিমধ্যেই অনন্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তবে এই কৃতিত্ব ধরে রাখতে হলে সরিষার ক্ষেতে আসা দর্শনার্থীদের কারণে কৃষকের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। এতে যেমন বাড়বে সরিষার উৎপাদন, তেমনি কমবে তেল ফসলের আমদানি নির্ভরতা।