হলুদের চাদর বিছানো সরিষার মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত ভীড় জমাচ্ছেন সরিষার ক্ষেতগুলোতে। সরিষা ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার পাশাপাশি ছবি তোলায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সরিষা ক্ষেত দেখতে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ এবং সার সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ মন বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন কৃষকরা। ফলে এ বছর জেলায় সরিষার চাষ বেড়েছে। মাঠে যেভাবে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে হেক্টরপ্রতি ১.৩ মেট্রিকটন ফলন আসবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১০ লাখ মেট্রিকটন তেল ফসল উৎপাদন করা। যা মোট চাহিদার ৪০ ভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঝালকাঠির কৃষকরা ইতিমধ্যেই অনন্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তবে এই কৃতিত্ব ধরে রাখতে হলে সরিষার ক্ষেতে আসা দর্শনার্থীদের কারণে কৃষকের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। এতে যেমন বাড়বে সরিষার উৎপাদন, তেমনি কমবে তেল ফসলের আমদানি নির্ভরতা।