• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জুমার দিনের বিশেষ আমল

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৩, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
জুমার দিনের বিশেষ আমল

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে জুমার দিন হলো- সর্বশ্রেষ্ঠ। এই দিনে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। জুমার দিনে একজন মুমিনের প্রধান দায়িত্ব হলো- জুমার নামাজ আদায় করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘হে ইমানদাররা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হবে, তখন তোমরা বেচা-কেনা ছেড়ে আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও। আর এটা হলো তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ -সুরা জুমুআ : ৯

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সূর্যোদয় হওয়ার দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো- জুমার দিন। আর জুমার দিন হজরত আদম (আ.)-কে তৈরি করা হয়েছে। আর এদিনেই তাকে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয়েছে, এই দিনেই তাকে বেহেশত থেকে বের করে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। আর কিয়ামত জুমার দিনেই অনুষ্ঠিত হবে।’ -সহিহ মুসলিম : ৮৫৪

এ ছাড়া শুক্রবারের আরও বেশ কিছু আমলের ফজিলত রয়েছে। সেগুলো হলো-

এক. শুক্রবারে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন দোয়া করলে কবুল করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, অবশ্য অবশ্যই জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে; তখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কল্যাণকর কিছু কামনা করলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হয়। -সহিহ বোখারি

তবে সেই মুহূর্তটি ঠিক কোন সময় এ নিয়ে অনেকগুলো মতামত পাওয়া গেলেও ইবনে হাজমসহ অধিকাংশের আলেমদের মতে দুটি মুহূর্তের একটি হলো- দুই খুতবার মধ্যবর্তী সময়, আরেকটি সূর্যাস্তের আগ মুহূর্তে।

দুই. সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার ইমানের জ্যোতি এক জুমা থেকে আরেক জুমুআ পর্যন্ত চলতে থাকবে।’ -মিশকাত : ২১৭৫

সুরা কাহাফ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত পড়া যাবে। একসঙ্গে পড়া জরুরি নয়। আর না পারলে অন্তত দশ আয়াত তেলাওয়াত করার কথা বলা হয়েছে। সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের দ্বারা দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তিন. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। হাদিসে এসেছে, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘জুমার দিন আমার ওপর বেশি বেশি করে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।’ -সুনানে আবু দাউদ : ১০৪৭

দরুদ শরিফ পাঠ সম্পর্কে অন্যত্রে নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (সা.)-এর ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন।’ -জামে তিরমিজি

এ ছাড়া জুমার দিনে আরও বিশেষ আমল রয়েছে। যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং তাড়াতাড়ি মসজিদে গমন করা ইত্যাদি।