জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহজুড়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে। বুধবার ১০২৪ ও গতকাল ১১০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে।
জার্মানি কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের রাখতে সমর্থ হয়েছিল। এখন আবার তা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যারা জার্মানির বাইরে ছুটি কাটাতে গেছেন, তারা আবার জার্মানিতে ফিরে আসার পর করনাভাইরাস পরীক্ষা ও অধিক সংক্রমিত দেশগুলো থেকে ফিরলে আবশ্যিকভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান সাম্প্রতিক নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এখন একটি নির্দিষ্ট স্তরে স্থিতিশীল হই, তবে এটি মোকাবিলা করা সহজ। কিন্তু যদি সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তবে প্রতিদিনের জীবনে আমাদের সকলকে সতর্ক হতে হবে। নতুন করে কোনো বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে কিনা তা সময়ের উপর নির্ভর করবে’।
জার্মানির সংক্রমণ রোগ বিষয়ের গবেষণা কেন্দ্র রবার্ট কক ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক লোথার ভিলার বলেছেন, ‘সবাই নিয়ম মেনে চললে নতুন সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে। জার্মানিতে করোনভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা হঠাৎ করে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় লোথার ভিলার উদ্বেগ প্রকাশ করে নাগরিকদের করণীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেছেন, দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা এই তিনটি বিষয় অবশ্যই সবাইকে মানতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে সর্বত্র চলাফেরা, নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান ও সব সময় হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯৬ হাজার ২০০ জন মানুষ। আর মারা গেছেন ৯ হাজার ২৫২ জন।