বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ নানা জল্পনা কল্পনা শেষে আগামী বছরের জানুয়ারিতে উন্মুক্ত হচ্ছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ-গোমা সেতু। গত সপ্তাহে শেষ দুটি স্প্যান বসানোয় সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান। আর এর মধ্যে দিয়েই নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের প্রায় ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
বাকেরগঞ্জ ও পাশের দুমকি উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালীর লোহালিয়াসহ চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম রাঙামাটি নদী। এতদিন ট্রলার ও ফেরির ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের। ফেরির জন্য ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তেন স্থানীয়রা।
বরিশালের দিনারেরপুল–লক্ষ্মীপাশা–দুমকি আঞ্চলিক সড়কের রাঙামাটি নদীতে দুই হাজার ৫৪০ ফুট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। নির্ধারিত সময়সীমা ছিল তিন বছর।
কিন্তু নকশা পরিবর্তন, জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব এবং নদীর প্রবাহে পরিবর্তনসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজ এগোয়নি প্রত্যাশিত গতিতে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়। প্রাথমিক ব্যয়ের তুলনায় যা প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বেশি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম খান লিমিটেডের পরিচালক রাফসান খান জানান, ‘সেতুর উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ আপত্তি জানালে পুরো প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংশোধিত নকশা ও নতুন বাজেট অনুমোদনের পর পুনরায় কাজ শুরু হয়।’
স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘সেতু না থাকায় অনেক ভোগান্তি নিয়েই নদী পারাপার করতে হয় তাদের। একটি মাত্র ফেরি যদি কোনো কারণে চলাচল বন্ধ হয়, তখন ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।’
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গার্ডার ও পিলার বসানো হয়েছে আরো আগেই। এপ্রোচ সড়কও প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে সেতুটি সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।